কলকাতা, 20 মার্চ: গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় দায় কার? সেই লাখ টাকার প্রশ্নই এখন ঘুরছে চারিদিকে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও 134 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবাল দাবি করেছেন এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে তাদের জানার কথা নয়। যা করে সবটাই ইঞ্জিনিয়াররা। যে কারণে দুর্ঘটনার পরপরই তিনজন ইঞ্জিনিয়রকে শো-কজ করা হয়েছে। তবে কলকাতা পৌরনিগমের তথ্য অন্য কথা বলছে ।
কর্পোরশেন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতি বরোতেই মাসে একটি করে মিটিং হয়। সেখানে উপস্থিত থাকেন সংশ্লিষ্ট বরো চেয়ারম্যান-সহ বরো এলাকার প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়াও পৌর পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত বিভাগের আধিকারিকরা-সহ জল, নিকাশি, বিল্ডিং, জঞ্জাল সাফাই, আলো, সিভিল, সামাজিক প্রকল্প সব ক্ষেত্রেরই আধিকারিকরা থাকেন। সেই বৈঠকগুলোতে বিল্ডিং কমিটির তরফে একটি করে তালিকা প্রকাশ করা হয় । তাতে কোন ওয়ার্ডে কোথায় নির্মাণ হচ্ছে, অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সব পুঙ্খানুপুঙ্খ দেওয়া থাকে। প্রতিটি কাউন্সিলর তা জানেন ।
এর পরবর্তী সময় সম্প্রতি বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা একটি অভিযোগ তুলেছিলেন মাসিক অধিবেশনে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, তার ওয়ার্ডে কর্পোরেশন একটি জমি দানে পেয়েছিল ৷ সেই জমিতে নির্মাণ হয়েছে। তাতে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, এরপর থেকে বরোভিত্তিক তালিকা যেমন বরো চেয়ারম্যানের কাছে থাকবে তেমনই তালিকা যাবে কাউন্সিলরদের কাছেও । যাতে তাঁরাও অবগত থাকতে পারেন ।
ফলে গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম যে বলছেন, বিষয়গুলি ইঞ্জিনিয়র ছাড়া কাউন্সিলরদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় বা তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবাল যে দাবি করেছেন তিনি কিছুই জানেন না; সেই দাবি কার্যত মিথ্যা বলেই দাবি বিরোধীদের ।
তাঁদের কথায়, একটা বা দুটো বরো মিটিংয়ে বিল্ডিং তালিকা না-দিতে পারে বা কাউন্সিলর তাতে উপস্থিত না থাকতে পারেন । কিন্তু প্রতি মাসে অনুপস্থিত ছিলেন বা তালিকা প্রকাশ করেনি তেমন তো নয় । ফলে দায় এড়াতে মিথ্যা কথার আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা । সবটাই তাঁদের অবগত ৷
আরও পড়ুন :