মালদা, 31 জুলাই: এবার রেলের হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য মালদা শহরে ৷ বুধবার দুপুরে ঝলঝলিয়া এলাকার রেলের হাসপাতালে আগুন লাগে ৷ খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ তবে দমকলকর্মীরা আসার আগেই হাসপাতালের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার সাহায্যে আগুন নিভিয়ে ফেলেছিলেন হাসপাতালের কর্মীরাই ৷
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মালদার রেলওয়ে হাসপাতালের একতলার আউটডোর বিভাগের একটি ঘর থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় ৷ পরে বোঝা যায়, ওই ঘরের এসি মেশিনে আগুন লেগেছে ৷ মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় গোটা বিভাগ ৷ পাশে থাকা অন্য ঘরগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ হাসপাতালে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নেমে পড়েন কর্মীরা ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে চলে আসে দমকলেরও একটি ইঞ্জিন ৷ অবশ্য দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাতে হয়নি ৷ তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগে থাকতে পারে ৷ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার মনীশকুমার গুপ্তা বলেন, “বেলা 12টা 20 মিনিটে ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে আউটডোর বিভাগের চার নম্বর ঘরে থাকা এসি মেশিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় ৷ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেই সময় আউটডোরে থাকা সমস্ত রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ ইসিজি রুমে তখন কেউ ছিলেন না ৷ আমাদের কর্মীরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ৷ দমকল আসার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর নেই ৷”
আউটডোরে আসা এক রোগী মহম্মদ বদিরুদ্দিন বলেন, “ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম ৷ কিছুক্ষণ পরেই দেখি, আউটডোরের একটি ঘরে আগুন লেগে গিয়েছে ৷ তারপরেই চিকিৎসক জানিয়ে দেন, আজ আর ডাক্তার দেখানো যাবে না ৷ আমাকে পরে আসতে হবে ৷ কী করে আগুন লাগল তা আমরা বলতে পারব না ৷"
দমকল বিভাগের এক কর্মী বলেন, “হাসপাতালের একতলায় চার নম্বর ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ৷ ওই ঘরে একটি উইন্ডো এসি মেশিন ছিল ৷ তাতেই আগুন লেগেছিল ৷ তবে হাসপাতালের কর্মীরা সঠিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলেন ৷ আমরা শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ৷ এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে ৷ আমাদের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷"