কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: বিচার চেয়ে পথে নেমে বিস্ফোরক দাবি করল আরজি করের মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার ৷ তাদের দাবি, ঘটনার পর সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল ৷ নির্যাতিতার কাকা বলেন, "আরজি কর হাসপাতালের বেশ কিছু চিকিৎসক আমার দাদা-বৌদিকে আটকে রেখেছিলেন । সাদা কাগজে সই করতে চাপ দিয়েছিলেন । আমি ওই সাদা কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি ।" নির্যাতিতার বাবার দাবি, কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল প্রথম থেকেই মিথ্যা কথা বলে আসছেন ৷ শুধু তাই নয়, ডিসি নর্থ টাকা দিতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি পরিবারের ।
পরিবারের দাবি:
মেয়েকে 3 ঘণ্টা দেখতে দেয়নি পুলিশ ৷ বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ রাজি হয়নি ।
পোস্টমর্টেম করতে 6টা কেন বাজল ?
সন্ধ্যা সাড়ে 6টা থেকে সাতটার মধ্যে এফআইআর দায়ের হলেও তা নথিভুক্ত হতে পৌনে বারোটা বাজল কেন? এতক্ষণ কী করছিল টালা থানা?
দুপুর 12 থেকে 7টা পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কেউ কথা বলেনি ৷
দেহ রাখতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাঁদের জোর করা হয়েছে। দেহ সৎকার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
নির্যতিতার কাকিমা বলেন, "সকাল 10.55 মিনিটে খবর আসে। 1 ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসি । বাড়ি থেকে আমরা ৪ জন এসে দেখেছিলাম সেমিনার হলের সামনে প্রচুর পুলিশ। আমাদের অনেকক্ষণ একটা একটা ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশ এসে বারবার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে বলে। আমরা যেতে রাজি হইনি"।
তাঁর অভিযোগ, পুলিশ জোর করে নির্যাতিতার দেহ হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যায়। এমনকী পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে যেতে দেওয়া হয়নি। এই একই অভিযোগ করেছেন তার দাদা। তিনি জানান, বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন দেহ রাখতে। কিন্তু তারা কিছুতেই রাজি হয়নি। পাশাপাশি পরিবারের তরফে আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁদের কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে তাহলে তাঁরা যেন তা সিবিআইকে দেন।