ETV Bharat / state

স্বাধীনতা সংগ্রামীর জাল শংসাপত্রে পেনশন ! CBI তদন্তের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট - FAKE FREEDOM FIGHTERS

আগামী 19 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে ৷

FAKE FREEDOM FIGHTERS
কলকাতা হাইকোর্ট (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 14, 2025, 8:26 AM IST

কলকাতা, 14 জানুয়ারি: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জাল শংসাপত্র দিয়ে পেনশন নেওয়ার অভিযোগ ৷ সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আগামী 19 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে ৷

পাশাপাশি, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, 1947 সালের স্বাধীনতা পাওয়ার আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে কোনও নথি রাজ্যের কাছে নেই ।

রামলাল মাইতি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা । তাঁর পুত্র শুকদেব মাইতি বাবার পেনশনের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ পুত্রের দাবি, তাঁর বাবা রামলাল মাইতি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী । তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসনের নজর এড়াতে 1943-1944 সালে তাঁর বাবা আত্মগোপন করে ছিলেন । সুতরাং, তাঁর বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রাপ্ত পেনশনের অধিকারী । বর্তমানে রামলাল মাইতি ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই মৃত । উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছেলে । আবেদনকারীর আরও দাবি, বাবার স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার প্রমাণও রয়েছে তাঁর কাছে ৷ অপর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী আরএন গিরি তাঁর বাবাকে শংসাপত্র দিয়েছিলেন ।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, আরএন গিরি নিজে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এটা ঠিক ৷ তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে পেনশনও পেতেন । তিনি 1942-1943 সালের উল্লেখ করে বহু ব্যক্তিকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার শংসাপত্র প্রদান করেছিলেন । কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন দেখা যায় আরএন গিরি দেশজুড়ে প্রায় 2 হাজার 200 জনকে অবৈধভাবে শংসাপত্র দিয়েছেন । সুপ্রিম কোর্ট এই জাল শংসাপত্র মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় ।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় জানান, হিসেব করে দেখা গিয়েছে 1943-1944 সালে রামলাল মাইতির বয়স ছিল 13 বছর । এছাড়াও, 1947 সালের আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোনও নথি রাজ্যের কাছে নেই । রামলাল মাইতি যে স্বাধীনতা সংগ্রামী তাঁর একমাত্র নথি হচ্ছে আর এন গিরির দেওয়া শংসাপত্র । ইতিমধ্যেই, সুপ্রিম কোর্ট আরএন গিরির দেওয়া শংসাপত্রের উপর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । সুতরাং, রামলালের শংসাপত্র কতটা বৈধ, তা নিয়ে সন্দিহানে রাজ্য সরকার ৷

মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্তে আর এন গিরির দেওয়া শংসাপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে ৷ সুতরাং, এ ক্ষেত্রে রামলাল মাইতির ছেলের করা আবেদনের কোনও সারবত্তা নেই । তাই আগামী 19 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে রামলাল মাইতির অবস্থান সম্পর্কে এবং সিবিআই-এর তদন্ত সম্পর্কে একটি রিপোর্ট হলফনামার মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে ।

উল্লেখ্য, এর আগে একক বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য রামলাল মাইতির ছেলে শুকদেব মাইতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন ৷ রাজ্য সরকারকে জরিমানাও করেন । এদিন সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন প্রধান বিচারপতি ৷

পড়ুন: মহিলার সঙ্গে ভিডিয়োর জের ! সিপিআইএম জেলা কমিটি থেকে বাদ সুশান্ত ঘোষ

কলকাতা, 14 জানুয়ারি: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জাল শংসাপত্র দিয়ে পেনশন নেওয়ার অভিযোগ ৷ সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আগামী 19 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে ৷

পাশাপাশি, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, 1947 সালের স্বাধীনতা পাওয়ার আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে কোনও নথি রাজ্যের কাছে নেই ।

রামলাল মাইতি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা । তাঁর পুত্র শুকদেব মাইতি বাবার পেনশনের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ পুত্রের দাবি, তাঁর বাবা রামলাল মাইতি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী । তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসনের নজর এড়াতে 1943-1944 সালে তাঁর বাবা আত্মগোপন করে ছিলেন । সুতরাং, তাঁর বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রাপ্ত পেনশনের অধিকারী । বর্তমানে রামলাল মাইতি ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই মৃত । উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছেলে । আবেদনকারীর আরও দাবি, বাবার স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার প্রমাণও রয়েছে তাঁর কাছে ৷ অপর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী আরএন গিরি তাঁর বাবাকে শংসাপত্র দিয়েছিলেন ।

বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানান, আরএন গিরি নিজে স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন এটা ঠিক ৷ তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে পেনশনও পেতেন । তিনি 1942-1943 সালের উল্লেখ করে বহু ব্যক্তিকে স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়ার শংসাপত্র প্রদান করেছিলেন । কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন দেখা যায় আরএন গিরি দেশজুড়ে প্রায় 2 হাজার 200 জনকে অবৈধভাবে শংসাপত্র দিয়েছেন । সুপ্রিম কোর্ট এই জাল শংসাপত্র মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় ।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় জানান, হিসেব করে দেখা গিয়েছে 1943-1944 সালে রামলাল মাইতির বয়স ছিল 13 বছর । এছাড়াও, 1947 সালের আগে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোনও নথি রাজ্যের কাছে নেই । রামলাল মাইতি যে স্বাধীনতা সংগ্রামী তাঁর একমাত্র নথি হচ্ছে আর এন গিরির দেওয়া শংসাপত্র । ইতিমধ্যেই, সুপ্রিম কোর্ট আরএন গিরির দেওয়া শংসাপত্রের উপর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । সুতরাং, রামলালের শংসাপত্র কতটা বৈধ, তা নিয়ে সন্দিহানে রাজ্য সরকার ৷

মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্তে আর এন গিরির দেওয়া শংসাপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে ৷ সুতরাং, এ ক্ষেত্রে রামলাল মাইতির ছেলের করা আবেদনের কোনও সারবত্তা নেই । তাই আগামী 19 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে রামলাল মাইতির অবস্থান সম্পর্কে এবং সিবিআই-এর তদন্ত সম্পর্কে একটি রিপোর্ট হলফনামার মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হবে ।

উল্লেখ্য, এর আগে একক বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য রামলাল মাইতির ছেলে শুকদেব মাইতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন ৷ রাজ্য সরকারকে জরিমানাও করেন । এদিন সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন প্রধান বিচারপতি ৷

পড়ুন: মহিলার সঙ্গে ভিডিয়োর জের ! সিপিআইএম জেলা কমিটি থেকে বাদ সুশান্ত ঘোষ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.