ভাঙড়, 18 অক্টোবর: ভাঙড় থানার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ৷ পৈতৃক জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গেলে বাধা দেওয়া এবং বাড়ি তৈরির কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ মূলত, তোলাবাজির টাকার জন্য পুলিশ এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাড়ির মালিক এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাত থেকে কলকাতা পুলিশকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার সেই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের ছাত্রনেতা সাবিরুল ইসলাম ৷ এমনকি স্থানীয় লোকজনও সেই অভিযোগ তুলেছেন ৷
ভাঙড় থানা এলাকার নলপুকুর এলাকায় সুজাউদ্দিন মোল্লা নিজের পৈতৃক জমিতে বাড়ি তৈরি করছেন ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ সেই বাড়ি তৈরিতে বাধা দিচ্ছে ৷ ঠিকাদার ও শ্রমিকদের বলপূর্বক থানায় তুলে আনা হয়েছে ৷ আর বাড়ির মালিককে ভাঙড় থানায় দেখা করতে বলে গিয়েছে পুলিশ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সাবিরুল ইসলাম ৷ সেখানে তিনি বিক্ষোভ দেখান পুলিশের বিরুদ্ধে ৷
তিনি অভিযোগ করেছেন, কলকাতা পুলিশ ভাঙড়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তোলাবাজি করছে ৷ কেউ পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি তৈরি করতে গেলেই পুলিশ টাকা দাবি করছে ৷ উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মী সম্মেলন থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ৷ আবারও সেই অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে ৷
যদিও, পুলিশের তরফে পালটা পুকুর ভরাট করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, পুকুর ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছিল ৷ পুলিশ প্রথমে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ৷ অভিযোগ, সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চলছিল ৷ তারপরেই পুলিশ সেখানে গিয়ে শ্রমিক এবং ঠিকাদারকে আটক করে থানায় তুলে আনে ৷ পরবর্তী সময়ে নির্মীয়মান বাড়ির মালিক থানায় গিয়ে তাঁদেরকে ছাড়িয়ে আনেন ৷ তবে, কোনও পুলিশকর্মী টাকা চেয়ে থাকলে, তা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভাঙড় থানার তরফে ৷