কলকাতা, 30 মে: কলকাতার ফুসফুস 'রবীন্দ্র সরোবর' বাঁচাতে 'সেলিব্রিটি' শব্দের ব্যাখ্যা চাইলেন পরিবেশবিদ-ক্রীড়াপ্রেমীরাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। একইসঙ্গে লেকপ্রেমীরা এবং সেভ রবীন্দ্র সরোবর ফোরাম কেএমডিএ-র কাছে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য বেসরকারি সংস্থাকে তিন একর জমি ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
রবীন্দ্র সরোবর মর্নিং ওয়াক করতে আসা ব্যক্তিদের, ক্রীড়াবিদ এবং সহ-নাগরিকদের বক্তব্য, "সম্পত্তি বিক্রি করা, লিজ দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ৷ সেলিব্রিটি হওয়ার অর্থ কী এবং কীভাবে সেলিব্রিটি হওয়া যায়, তার উত্তর কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। আমরা সকলেই এমন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের এই রকম কোনও ট্যাগ নেই। তাই কলকাতার ঐতিহ্য এবং ফুসফুস অর্থাৎ রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে কীভাবে এমন বাজে কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ ক্রীড়াবিদ এবং যারা সেলিব্রিটি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয়, তাদের কী হবে? নয় বছর ধরে স্টেডিয়াম বন্ধ কেন? ক্রীড়াবিদদের জন্য পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নেই কেন? কেন ক্রীড়াবিদ ও মর্নিং ওয়াকারদের জন্য নির্দিষ্ট মাঠে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ? অডিট রিপোর্ট জমা হচ্ছে না কেন? রবীন্দ্র সরোবরে ক্রমাগত হামলা সহ্য করা হবে না।"
পরিবেশবিদ এসএম ঘোষ, সহ-নাগরিক সমাজের সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল শাহ, ওপি ঝুনঝুনওয়ালা, কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্য়ায়, দ্বারকা ঘোষ, উৎপল দাস, আলি হাসান সরদার, সুদীপ্ত ভৌমিক-রা বলেছেন, "পরিবেশগত ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য আমাদের আন্দোলনের প্রধান বিষয়। কিন্তু, রবীন্দ্রসরোবরের ইকো সিস্টেমে ক্রমশ খারাপ অবস্থার দিকে এগচ্ছে। রবীন্দ্রসরোবর জলাশয় এবং সবুজ সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
তাঁরা আরও বলেন, "অন্যান্য ক্রীড়া কর্মীরাও অবিলম্বে ফুটবল এবং অ্যাথলেটিকদের জন্য রবীন্দ্রসরোবর স্টেডিয়াম স্পোর্টস কমপ্লেক্স খোলার জন্য সোচ্চার হয়েছেন।" দীর্ঘদিন ধরে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা অষ্টোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সরোবর বাঁচাও আন্দোলন রাজনীতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে হওয়া উচিত। 3 একর সবুজ জমি পুনরুদ্ধার করার জন্য 5 জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস মানববন্ধনে যোগদান করা উচিত সকলকে।"