কলকাতা, 24 জুন: ফের খবরের শিরোনামে রাজভবন । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে রাজভবনের প্রতিটি কর্মচারীকে প্রতিদিন দু'বেলা কড়া চেকিংয়ের মাধ্যমে রাজভবনে ঢুকতে ও বেরোতে হচ্ছে । রাজভবনে ঢোকার সময় নিজেদের পরিচয়পত্র দেখানো থেকে শুরু করে ব্যাগ স্ক্যান করাতে হচ্ছে ৷ সন্ধ্যায় বেরনোর সময় ফের চেক করে তা এন্ট্রি করছে রাজভবনে নিরাপত্তায় থাকা কলকাতা পুলিশ ।
শুধু রাজভবনের উত্তর গেট নয়, প্রতিটি গেটেই কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে । সূত্রের খবর, রাতের ডিউটিতে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । রাতের ডিউটিতে রাখা হয়েছে মহিলা পুলিশ কর্মীও । এরকম কড়া নিরাপত্তা এর আগে কবে হয়েছিল তা ঠিক মনে করে বলতে পারছেন না রাজভবনের অধিকাংশ কর্মচারীরা । কেন হঠাৎ করে রাজভবনের কর্মচারীদের মধ্যে এত কড়াকড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছে এই নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
রাজ্যপালের সচিব-সহ তিন আধিকারিকের নিয়োগ, নবান্নকে চিঠি রাজভবনের
সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কেন্দ্রীয়বাহিনীর পদাধিকারীদের সঙ্গে রাজভবনে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠক হয় । সেই বৈঠকের পরেই রাজভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে । সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি করার জন্য । যে কারণে পদমর্যাদা ভুলে কে কখন রাজভবনে ঢুকছেন ও বের হচ্ছেন সেই বিষয়ে সমস্ত তথ্য নথিবদ্ধ করা হচ্ছে ।
কিন্তু এরপরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, এই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই নজরদারির অভিযোগ তুলেছিলেন স্বয়ং রাজ্যপাল । মৌখিকভাবে রাজভবন বিল্ডিং থেকে কলকাতা পুলিশকে সরে যেতেও বলেছিলেন । কিন্তু লিখিত কোনও অর্ডার না আসায় আজও রাজভবনের নিচের তলায় কলকাতা পুলিশ আছে । যা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন রাজভবন কর্মচারীদের একাংশ। কারণ, রাজভবন পিডব্লিউডির অধীনে । যা রাজ্য সরকারের । আর রাজবনের নিরাপত্তা সাধারণত রাজ্যের পুলিশই করে থাকে