দার্জিলিং, 22 ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরল দুটি হাতি। বাংলাদেশ বনবিভাগের সহায়তায় বুধবার হাতি দুটোকে ভারতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে বনবিভাগ। ভারতে প্রবেশ করতেই লোকালয়ে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় তাদের। হাতি দু’টোকে ফাঁসিদেওয়া ব্লক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করানো হয়েছে ।
ভারতে ফিরে এসেই প্রথমে গুমানিবস্তি, তারপর নেকনাগছ ও শেষে কুচিয়াগছের একটি চা-বাগানের মধ্যে ঢুকে পরে হাতি দু’টো । এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা দুই হাতিকে দেখতে ভীড় জমায় এলাকাবাসীরা। তবে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় বনকর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে ঘোষপুকুর রেঞ্জের তরফে ৷ সেইসঙ্গে চলছে মাইকিং। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে হাতি দু’টির থেকে ।
হাতি দুটোকে ফাঁসিদেওয়া দিয়ে নকশালবাড়ির টুকুরিয়াঝার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বন বিভাগের তরফে । কার্শিয়াং ওয়াইল্ড লাইফের এডিএফও দীপেন তামাং বলেন, "হাতি দু’টিকে নিরাপদে ভারতে আনা গিয়েছে । আপাতত তারা ফাঁসিদেওয়া ব্লকে রয়েছে । সেখানে নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে তাদেরকে জঙ্গলে ফেরানোর কাজ করা হচ্ছে ।"
মঙ্গলবার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্নাসীকাটা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তর কাটাতার পেরিয়ে ওপার বাংলায় ঢুকে গিয়েছিল দু‘টি হাতি । গজরাজের এই কীর্তিতে ঘুম উবে যায় বন বিভাগের। তড়িঘড়ি শুরু হয় হাতি দুটোকে এপার বাংলায় ফেরানোর কাজ। যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে । বুধবার দেশে ফেরে দুই কীর্তিমান গজরাজ ৷
এর আগে 2007-2008 সালেও গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে একটি হাতি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল । মেখলিগঞ্জ দিয়ে সেটি বাংলাদেশের নিলফামারিতে ঢুকে যায় । সে সময় হাতিটি বাংলাদেশে ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি করে । এরপর বাংলাদেশের পুলিশ গুলি করে হাতিটিকে মেরে ফেলে । 2010 সালেও বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলে দু’টো হাতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া টপকে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে ।
আরও পড়ুন: