ETV Bharat / state

আদিবাসী গ্রামে শিক্ষার আলো ফোটাতে অগ্নিমিত্রার 'এক টাকার পাঠশালা'

বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বাবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে এই 'এক টাকার পাঠশালা' শুরু করা হয়েছে ৷ সেখানে আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারের বাচ্চাদের পড়ানো হবে ৷

EK TAKAR PATHSHALA BY AGNIMITRA
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উদ্যোগে চালু হল 'এক টাকার পাঠশালা' ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

আসানসোল, 20 নভেম্বর: রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে, এমন অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে ৷ আদিবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলে শিশুরা পড়াশোনা করলেও, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা থেকে বহু দূরে চলে যায় তারা ৷ পারিবারিক স্বচ্ছলতা না-থাকায় গৃহ শিক্ষক দিতে পারেন না অভিভাবকরা ৷ ফলে মেধা থাকলেও, পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সময় পিছিয়ে পড়ে আদিবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা ৷ এবার সেই পিছিয়ে পড়া ও প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়াদের প্রকৃত অর্থে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ৷

ছোট ছোট পড়ুয়াদের মেধাকে উন্নত করতে 'এক টাকার স্কুল' চালু করলেন তিনি ৷ অগ্নিমিত্রা পালের বাবা তথা আসানসোলের স্বনামধন্য চিকিৎসক অশোক রায়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই স্কুলগুলি পরিচালনা করবে ৷ আসানসোলের তালকুড়ি এলাকায় আদিবাসী পাড়ায় এবং কালাঝরিয়া এলাকায় দু’টি স্কুলের উদ্বোধন করলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল ৷ দু’টি স্কুলেই প্রায় 60 জন ক'রে শিশু রয়েছে ৷ এরা মূলত বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে ৷ তবে, দরিদ্র-দিনমজুর পরিবার থেকে আসায় তাদের গৃহশিক্ষক রাখার মতো বিলাসিতা করতে পারেননি অভিভাবকরা ৷

বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উদ্যোগে 'এক টাকার পাঠশালা' আসানসোলে ৷ (ইটিভি ভারত)

এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরাও অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায়, স্কুলের বাইরে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় নজর দেওয়ার কেউ থাকে না ৷ ফলে আলাদা করে পড়াশোনা করত না এই বাচ্চাগুলি ৷ সেই কারণে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল ৷ তিনি বলেন, "আমার বিধানসভা এলাকার প্রতিটি গ্রামে এই 'এক টাকার স্কুল' চালু করব ৷ নাম 'এক টাকার স্কুল' হলেও, কোনও টাকা নেওয়া হবে না ৷ এলাকারই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে ৷ তাঁরাই মূলত স্কুলগুলিতে পড়াবেন ৷"

EK TAKAR PATHSHALA BY AGNIMITRA
'এক টাকার পাঠশালায়' পড়াশোনা খুদে পড়ুয়াদের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

অগ্নিমিত্রার কথায়, "শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয় ৷ অর্ধশিক্ষিত কিংবা অক্ষরজ্ঞানহীন অভিভাবকদেরও শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা হবে এই স্কুলগুলি থেকে ৷ এই 'এক টাকার স্কুল' পরিচালনা করবে আমার বাবা চিকিৎসক অশোক রায়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'দোসর' ৷"

EK TAKAR PATHSHALA BY AGNIMITRA
আদিবাসী গ্রামে 'এক টাকার পাঠশালা' চালু বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

বিধায়কের বাবা অশোক রায় জানান, "আমরা ইতিমধ্যেই এই গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যশিবির করেছি ৷ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজও আমরা করে থাকি ৷ এবার শিশু এবং তাঁদের অভিভাবকদের শিক্ষার আলোয় আনতে স্কুলগুলি আমরা পরিচালনা করব ৷ এই স্কুলগুলিতে খাতা, বই, পেন, স্কুল ব্যাগ এবং অন্যান্য পড়াশোনার সামগ্রী আমরা বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করব ৷"

এই স্কুলগুলিতে প্রথম দিন থেকেই খুদে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেখা গেল ৷ বিপুল সংখ্যায় ছাত্রছাত্রীরা প্রথমদিনে স্কুলে আসে এবং তারা পড়াশোনার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ উৎসাহী ছিল ৷ অগ্নিমিত্রা পালের আশা, আগামী দিনে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে এই 'এক টাকার পাঠশালায়' ৷

আসানসোল, 20 নভেম্বর: রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে, এমন অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে ৷ আদিবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রামের সরকারি স্কুলে শিশুরা পড়াশোনা করলেও, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে পড়াশোনা থেকে বহু দূরে চলে যায় তারা ৷ পারিবারিক স্বচ্ছলতা না-থাকায় গৃহ শিক্ষক দিতে পারেন না অভিভাবকরা ৷ ফলে মেধা থাকলেও, পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক সময় পিছিয়ে পড়ে আদিবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা ৷ এবার সেই পিছিয়ে পড়া ও প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়াদের প্রকৃত অর্থে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ৷

ছোট ছোট পড়ুয়াদের মেধাকে উন্নত করতে 'এক টাকার স্কুল' চালু করলেন তিনি ৷ অগ্নিমিত্রা পালের বাবা তথা আসানসোলের স্বনামধন্য চিকিৎসক অশোক রায়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই স্কুলগুলি পরিচালনা করবে ৷ আসানসোলের তালকুড়ি এলাকায় আদিবাসী পাড়ায় এবং কালাঝরিয়া এলাকায় দু’টি স্কুলের উদ্বোধন করলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল ৷ দু’টি স্কুলেই প্রায় 60 জন ক'রে শিশু রয়েছে ৷ এরা মূলত বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে ৷ তবে, দরিদ্র-দিনমজুর পরিবার থেকে আসায় তাদের গৃহশিক্ষক রাখার মতো বিলাসিতা করতে পারেননি অভিভাবকরা ৷

বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উদ্যোগে 'এক টাকার পাঠশালা' আসানসোলে ৷ (ইটিভি ভারত)

এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরাও অক্ষরজ্ঞানহীন হওয়ায়, স্কুলের বাইরে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় নজর দেওয়ার কেউ থাকে না ৷ ফলে আলাদা করে পড়াশোনা করত না এই বাচ্চাগুলি ৷ সেই কারণে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল ৷ তিনি বলেন, "আমার বিধানসভা এলাকার প্রতিটি গ্রামে এই 'এক টাকার স্কুল' চালু করব ৷ নাম 'এক টাকার স্কুল' হলেও, কোনও টাকা নেওয়া হবে না ৷ এলাকারই শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে ৷ তাঁরাই মূলত স্কুলগুলিতে পড়াবেন ৷"

EK TAKAR PATHSHALA BY AGNIMITRA
'এক টাকার পাঠশালায়' পড়াশোনা খুদে পড়ুয়াদের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

অগ্নিমিত্রার কথায়, "শুধু ছাত্রছাত্রীরা নয় ৷ অর্ধশিক্ষিত কিংবা অক্ষরজ্ঞানহীন অভিভাবকদেরও শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা হবে এই স্কুলগুলি থেকে ৷ এই 'এক টাকার স্কুল' পরিচালনা করবে আমার বাবা চিকিৎসক অশোক রায়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'দোসর' ৷"

EK TAKAR PATHSHALA BY AGNIMITRA
আদিবাসী গ্রামে 'এক টাকার পাঠশালা' চালু বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

বিধায়কের বাবা অশোক রায় জানান, "আমরা ইতিমধ্যেই এই গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যশিবির করেছি ৷ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজও আমরা করে থাকি ৷ এবার শিশু এবং তাঁদের অভিভাবকদের শিক্ষার আলোয় আনতে স্কুলগুলি আমরা পরিচালনা করব ৷ এই স্কুলগুলিতে খাতা, বই, পেন, স্কুল ব্যাগ এবং অন্যান্য পড়াশোনার সামগ্রী আমরা বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করব ৷"

এই স্কুলগুলিতে প্রথম দিন থেকেই খুদে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেখা গেল ৷ বিপুল সংখ্যায় ছাত্রছাত্রীরা প্রথমদিনে স্কুলে আসে এবং তারা পড়াশোনার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ উৎসাহী ছিল ৷ অগ্নিমিত্রা পালের আশা, আগামী দিনে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে এই 'এক টাকার পাঠশালায়' ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.