কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ফের একাধিক জায়গায় ইডির তল্লাশি ৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সল্টলেক-সহ কলকাতার মোট ছ’টি জায়গায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ সল্টলেকে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা ৷ পাশাপাশি কৈখালিতে বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনেও পৌঁছন তাঁরা ৷
ইডি দফতর সূত্রে খবর, এদিন সকাল 7টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা ৷ সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ জানা যায়, অতিরিক্ত চারটি দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকরা পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালী এলাকার নানা জায়গায় হানা দিয়েছেন ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে ।
ইডি সূত্রে খবর, বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁর বাসিন্দা ৷ শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্বজিৎ দাসের নাম উঠে আসে ৷ বিশ্বজিৎ দাসের আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে ৷ সেখানেই এই রেশন দুর্নীতির টাকা খাটানো হয়েছে বলে খবর ৷ তাঁর বাড়ির সামনে রাখা বিলাসবহুল গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় ৷ সেখান থেকে প্লাস্টিক উদ্ধার করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায় ইডি ৷
আইবি ব্লকে ইডির আধিকারিকরা এক মহিলার সঙ্গেও কথা বলেন ৷ এরপরেই তাঁরা বিশ্বজিৎ দাসের খোঁজ শুরু করেন ৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছলে পুলিশ ইডি কর্তাদের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান ৷ রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতারের পর তাঁর সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একটি যোগ পায় ইডি ৷ এরপরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি ৷
এরপর বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যরও যোগ পান তদন্তকারীরা ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনায় একটি বড় চক্র রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ৷ পাশাপাশি কৈখালীতে বাকিবুর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হানিস তোসিবালের ফ্লাটে অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলছে এই অভিযান ৷ ইডি আধিকারিকরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবসায়ী তাঁর মোবাইল ফোন ছুড়ে অন্যত্র ফেলে দেয় বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: