ঝাড়গ্রাম ও বহরমপুর, 6 ফেব্রুয়ারি: এবার ঝাড়গ্রাম শহরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান । মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ঝাড়গ্রামের বাছুরডোবায় একটি সরকারি আবাসনে হানা দিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা । সরকারি আবাসনের ব্লগ-বি ব্লিডিংয়ের দোতলায় রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার মাইনোরিটি সেলের আধিকারিক শুভ্রাংশু মণ্ডলের কোয়ার্টার ৷ সেখানেই অভিযান চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা বলে জানা গিয়েছে । মাইনোরিটি সেলের দায়িত্বে আসার আগে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন শুভ্রাংশু । আগে কয়েকগুলি ঘটনায় হামলার সম্মুখীন হয়েছে তদন্তকারীরা ৷ এর ফলে আজকের ইডির অভিযানকে ঘিরে সরকারি আবাসন চত্বর কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় কর্মরত থাকাকালীন ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র অথবা 100 দিনের কাজের দুর্নীতি, এই দুই বিষয়ে তদন্তের জন্য ইডি শুভ্রাংশু মণ্ডলের কোয়ার্টারে হানা দিয়েছে । যদিও, ইডি কী বিষয়ে তদন্ত করার জন্য শুভ্রাংশুর বাড়িতে এসেছে তা এখনও পরিষ্কারভাবে তদন্তকারীদের তরফে কিছু জানা যায়নি ।
সরকারি আবাসনে ইডির হানার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম থানার আইসি বিপ্লব কর্মকার । শুভ্রাংশু মণ্ডলের কোয়ার্টারের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইসিকে বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা । কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সাফ জানিয়ে দেন, ইডির কোনও আধিকারিকের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোয়ার্টারের ভিতরে কাউকেই যেতে দেওয়া হবে না । আইসি বলেন, "কী কারণে এখানে তদন্ত হচ্ছে সেই বিষয়ে আমাকে জানাতে হবে ৷ আমি এখানকার স্থানীয় অথরিটি ।" তারপরেই ইডির আধিকারিকরা ফোন মারফত আইসিকে জানান যে কেন এখানে তদন্ত করা হচ্ছে, মেল মারফত পুলিশ সুপারকে জানিয়ে দেওয়া হবে ।
ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি মঙ্গলবার ইডির হানা বহরমপুরে ৷ এ দিন সকাল ন'টার দিকে হঠাৎই এক পঞ্চায়ত কর্মীর বাড়িতে হানা দিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা । বহরমপুর শহরের বিষ্ণুপুর রোডে বাড়ি পঞ্চায়েত কর্মী রথীন দে'র । সেখানেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি ৷ এই অভিযানকে ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বাড়িটিকে ।
সূত্রের খবর, নওদা পঞ্চায়েতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রথীন দে । নির্মাণ সহায়ক হিসাবে সেখানে কাজ করেন তিনি ৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমানে সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছেন রথীন দে । গত 2 বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে ৷ যার জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় । অভিযোগ, 100 দিনের কাজের প্রায় 4 কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজের এবং তাঁর বোনের অ্যকাউন্টে স্থানান্তর করেছেন রথীন ।
আরও পড়ুন: