বর্ধমান, 19 অগস্ট: দুই প্রধানের একই স্বর, জাস্টিস ফর বর্ধমান ও আরজি কর ৷ রবিবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে গর্জে উঠে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকরা ৷ কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই স্লোগান শোনা গেল বর্ধমান শহরেও । রবিবার সন্ধ্যায় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে দিয়ে পথে নামেন দুই দলের সমর্থকেরা ৷
রবিবার ছিল কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড ডার্বি । কিন্তু, শনিবার দুপুরেই মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের এই মেগা ম্যাচ বাতিল করা হয়। ডার্বি বাতিলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান দুই প্রধানের সমর্থকরা ৷ বিএনএসএস-এর 163 ধারা উপেক্ষা করে যুবভারতীর সামনে শ'য়ে শ'য়ে সমর্থক জমায়েত করেন ৷ সেই তালিকা যুক্ত হন ইস্টবেঙ্গলের কোচিং স্টাফের সদস্য সেনেন আলভারেজ এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অধিনায়ক শুভাশিস বসু ৷ এমনকি এআইএফএফ সচিব কল্যাণ চৌবে যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদে সামিল হলেন ৷
রবিবার দুপুর থেকেই ডার্বি বাতিলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পথে নেমেছিলেন কলকাতার তিন প্রধানের সমর্থকরা। শ'য়ে শ'য়ে তিন দলের সমর্থকেরা যুবভারতীর সামনে জড়ো হতে থাকেন। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও ব়্যাফ নামানো হয় বাইপাসের রাস্তায় ৷ সেখানে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে ফুটবল সমর্থকদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ ৷ তাঁদের আটক করে প্রিজন ভ্যানেও তোলা হয় ৷ সব মিলিয়ে ডার্বি বাতিল ও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যুবভারতীর সামনের রাস্তা ৷
পুলিশি হুঁশিয়ারকে উপেক্ষা ! আরজি কর-কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে একসুরে তিনপ্রধানের সমর্থকরা
কলকাতার সঙ্গে পা মিলিয়ে এদিন বর্ধমান শহরেও প্রতিবাদে সামিল হন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। দুই প্রধানের সমর্থকরা নিজের দলের জার্সি গায়ে এদিন সন্ধ্যায় শহরের বাদামতলা থেকে টাউনহল পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন ৷ পরে তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি বর্ধমানের তরুণী খুনের ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতারের দাবি জানান ৷ এদিন তাঁদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা 'ডার্বি বাতিল করলে কর, বিচার চায় বর্ধমান ও আরজি কর' এবং 'ঘটি-বাঙালের একটাই স্বর, বিচার চায় বর্ধমান ও আরজি কর'।
এক সমর্থক গৌরব সমাদ্দার বলেন, "সারা রাজ্যের সঙ্গে আমরাও জাস্টিস ফর আরজি কর এই ইস্যুতে পথে নেমেছি ৷ প্রতিবাদ জানিয়ে বর্ধমানের পথে সকলে সামিল হয়েছি ৷ এখানে কোন রাজনৈতিক রঙ নেই ৷ জাস্টিস পাওয়ার জন্য আমরা সবাই এক ৷"