দুর্গাপুর, 3 অগস্ট: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্য ৷ জলের তলায় দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ পশ্চিম বর্ধমান জেলা-সহ প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডে গত দু’দিনে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে ৷ শনিবার সকালে প্রায় 70 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ৷ তারপর দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে শুক্রবার জল ছাড়া হয়েছিল প্রায় 20 হাজার কিউসেকের বেশি। এদিন 70 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও বিপদসীমার ঊর্ধ্বে যায়নি। ব্যারেজের জলে বন্যাপ্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা এখনও নেই বলে জানা গিয়েছে ডিভিসি সূত্রে। পাশাপাশি এদিন পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়া হয়েছে প্রায় 50 হাজার কিউসেক। ওই জল দুর্গাপুর ব্যারেজে পৌঁছাবে আজ গভীর রাতে।
উল্লেখ্য, সাধারণত মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ডিভিসি তথা দামোদর ভ্যলি কর্পোরেশন জল ছাড়ে ৷ সেই জল জমা হয় দুর্গাপুর ব্যারেজে ৷ এরপরই বর্ষার সময় লক্ষাধিক কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৷ যার জেরে দামোদরের নিম্ন অববাহিকা অঞ্চল মূলত পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েকটি ব্লক, হুগলি, হাওড়া ও মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক ৷
বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির বিরুদ্ধে বহুবার রাতের অন্ধকারে জল ছাড়া নিয়ে সরব হয়েছেন। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর তাকে 'ম্যান মেড' বন্যা বলে আখ্যাও দিয়েছিলেন ৷
আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে । সেই মতোই যদি রাজ্যে বৃষ্টি হয়, তবে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয় ৷ তার জেরেই দামোদরের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ জল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে, তাতে বন্যার আশঙ্কা নেই বলেই জানা গিয়েছে ৷