বালুরঘাট, 21 জুলাই: বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে পড়শি ভারতীয় নাগরিকদের উপরেও। বাংলাদেশের অশান্ত পরিবেশের কারণে ভারতে ফিরতে হচ্ছে সেদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের। অন্যদিকে, বাংলাদেশে কারফিউ থাকার কারণে রবিবার থেকে যাবতীয় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্ত দিয়ে।
এদিন বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং নেপালের মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া প্রায় 350 জন পড়ুয়া হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরেন। বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয় বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরা পড়ুয়ারা জানায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ তারা পাননি। তাদের বাসে করে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। অসমের বাসিন্দা মেডিক্যাল পড়ুয়া রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, "বগুড়া মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। আমরা নিরাপদেই ছিলাম। এরপর বাংলাদেশের পুলিশ ভারত ও নেপালের প্রায় 350 জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে হিলি সীমান্ত পৌঁছে দেয়।"
বাংলাদেশের মেডিক্যাল পড়তে যাওয়া ছাত্র মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আবদুল জব্বার জানান, গত তিনদিন আগে ভয়াবহ অবস্থা ছিল ৷ তাঁর কথায়, "43 জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। এরপর নেট অফ থাকায় আমরা কোনও খবরাখবর পাইনি। আমাদের বগুড়াতেও কিছু জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে। তবে আমাদের কলেজে নিরাপদেই ছিল। এরপর আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছে এবং পুলিশের সাহায্যে নিরাপদে আজ আমরা ফিরে এলাম।"
অপরদিকে বাংলাদেশ কারফিউ থাকার কারণে এদিন থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল হিলি সীমান্ত দিয়ে। হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, "বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় আমদানি কারকদের সঙ্গে কথাবার্তা করা যাচ্ছে না।" পাশাপাশি সোমবার পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফেও জানা গিয়েছে। এর ফলে রফতানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এদেশের ব্যবসায়ীরা। ফলত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রফতানিকারীদের।