ETV Bharat / state

সাপের ছোবল খেয়েছেন ! বিশ্রাম নেই, হাতে স্যালাইন নিয়ে কর্তব্যে অবিচল চিকিৎসক সৃজিতা সাহা - doctor was bitten by a snake

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 18, 2024, 11:01 PM IST

Doctor Patient Argument: কাজের খাতিরে নিজের শারীরিক অবস্থার দিকেও নজর দেননি ৷ খেয়েছেন সাপের কামড় ৷ বিশ্রাম নেওয়ার বদলে হাসপাতালে রোগী দেখতে ব্যস্ত চিকিৎসক ৷

Doctor Patient Argument
কর্তব্যে অবিচল চিকিৎসক সৃজিতা সাহা (ইটিভি ভারত)

জলপাইগুড়ি, 18 জুন: চিকিৎসকও মানুষ, ভগবান নন ৷ তাঁরাও অসুস্থ হন ৷ সারাদিনের চাপে মেজাজও হারিয়ে ফেলেন ৷ আর তখনই চিকিৎসকের ভালো রূপ ভুলে সাধারণ মানুষ বিচার করতে বসে যান ৷ এমনই অবস্থার শিকার হয়েছেন ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সৃজিতা সাহা। নিজেই বিষধর সাপের ছোবলে অসুস্থ। তাও হাসপাতালে কর্তব্য পালনে অবিচল ৷ অন্যদিকে হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক সৃজিতা ৷

সাপের ছোবল খেয়েও কর্তব্যে অবিচল চিকিৎসক (ইটিভি ভারত)

চিকিৎসক সৃজিতার কথায়, "রবিবার ছুটির আবেদন করেছিলাম। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। রোগীদের পরিষেবা দিতে নেমেছি। বর্তমানে জ্বর ও নানা সমস্যা নিয়ে রোগীদের ভিড় হচ্ছে । অন্যান্য চিকিৎসকদের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। সেটা কেউ বুঝতে যান না ৷ মানুষ অসহিষ্ণু ব্যবহার করেই যান ৷ একটা সীমার পর আর সহ্য করা যায় না ৷"

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি ৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, একজন চিকিৎসক হিসেবে সৃজিতা সাহা যা করছেন তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে বলেই সাধারণদের পরিষেবা পেতে একটু সময় লাগছে ৷ ধূপগুড়ি হাসপাতালে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক রয়েছেন। কখনও 12 ঘণ্টা আবার কখনও ছয়, কখনও চার ঘণ্টা হিসেবে রোটেশনে চিকিৎসকরা ডিউটি করে থাকেন।

এরই মধ্যে হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে রোগীর আত্মীয় ও সৃজিতার মধ্যে বাকবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটে। অনেকেই চিকিৎসককে দোষারোপ করেন। কিন্তু কেউই সৃজিতার হাতে লাগানো স্যালাইনের চ্যানেলের দিকে নজর দেননি। চিকিৎসকও নিজে থেকে কিছু জানায়নি। কিন্তু এক সময়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ৷ তিনি বলেই ফেলেন, তাঁকে সাপে কামড়ে ছিল ৷ অসুস্থ রয়েছেন এখনও ৷ এই অবস্থায় কাজ করে চলেছেন ৷

চিকিৎসক সৃজিতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে তাঁকে সাপে কামড়ায়। তারপরই ময়নাগুড়িতে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসাও করান। ঠিক হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় বিশ্রাম না-নিয়েই কাজে যোগ দেন চিকিৎসক সৃজিতা সাহা ৷

জলপাইগুড়ি, 18 জুন: চিকিৎসকও মানুষ, ভগবান নন ৷ তাঁরাও অসুস্থ হন ৷ সারাদিনের চাপে মেজাজও হারিয়ে ফেলেন ৷ আর তখনই চিকিৎসকের ভালো রূপ ভুলে সাধারণ মানুষ বিচার করতে বসে যান ৷ এমনই অবস্থার শিকার হয়েছেন ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সৃজিতা সাহা। নিজেই বিষধর সাপের ছোবলে অসুস্থ। তাও হাসপাতালে কর্তব্য পালনে অবিচল ৷ অন্যদিকে হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন চিকিৎসক সৃজিতা ৷

সাপের ছোবল খেয়েও কর্তব্যে অবিচল চিকিৎসক (ইটিভি ভারত)

চিকিৎসক সৃজিতার কথায়, "রবিবার ছুটির আবেদন করেছিলাম। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। রোগীদের পরিষেবা দিতে নেমেছি। বর্তমানে জ্বর ও নানা সমস্যা নিয়ে রোগীদের ভিড় হচ্ছে । অন্যান্য চিকিৎসকদের মতোই কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। সেটা কেউ বুঝতে যান না ৷ মানুষ অসহিষ্ণু ব্যবহার করেই যান ৷ একটা সীমার পর আর সহ্য করা যায় না ৷"

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি ৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, একজন চিকিৎসক হিসেবে সৃজিতা সাহা যা করছেন তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে বলেই সাধারণদের পরিষেবা পেতে একটু সময় লাগছে ৷ ধূপগুড়ি হাসপাতালে বর্তমানে ছয়জন চিকিৎসক রয়েছেন। কখনও 12 ঘণ্টা আবার কখনও ছয়, কখনও চার ঘণ্টা হিসেবে রোটেশনে চিকিৎসকরা ডিউটি করে থাকেন।

এরই মধ্যে হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে রোগীর আত্মীয় ও সৃজিতার মধ্যে বাকবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটে। অনেকেই চিকিৎসককে দোষারোপ করেন। কিন্তু কেউই সৃজিতার হাতে লাগানো স্যালাইনের চ্যানেলের দিকে নজর দেননি। চিকিৎসকও নিজে থেকে কিছু জানায়নি। কিন্তু এক সময়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ৷ তিনি বলেই ফেলেন, তাঁকে সাপে কামড়ে ছিল ৷ অসুস্থ রয়েছেন এখনও ৷ এই অবস্থায় কাজ করে চলেছেন ৷

চিকিৎসক সৃজিতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে তাঁকে সাপে কামড়ায়। তারপরই ময়নাগুড়িতে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসাও করান। ঠিক হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়ায় বিশ্রাম না-নিয়েই কাজে যোগ দেন চিকিৎসক সৃজিতা সাহা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.