কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে হাসপাতালে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠকের পর নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়ে দেন, আজকের বৈঠক ভালো হয়েছে । বিভিন্ন হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়গুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে । রাজ্য সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি অডিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে ।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি দেখে নেবেন । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ওয়াশরুম, রেস্ট রুম-সহ অন্যান্য বিষয়গুলির জন্য 100 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পিডব্লিউডি-র হাতে ৷ হাসপাতালের প্রিন্সিপালদের সেটা দেখে নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী । একইসঙ্গে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে একটা পরিকাঠামো তৈরি করতে, যাতে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায় ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ইনস্টলেশন থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । তবে বন্যা পরিস্থিতির জন্য তাতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে ৷ দু'দিক দেখতে হচ্ছে সরকারকে ।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "আমরা প্রিন্সিপালদের বলেছি বায়োমেট্রিক চালু করতে । হাসপাতালের অনেক লোক আছে, যাঁরা সিকিউরিটির কাজ করে বা ক্লিনিংয়ের কাজ করে ৷ তাদের অনেকেই অজানা । তাদের ডিটেলস হাসপাতালের কাছে সব সময় থাকে না ৷ সেগুলিও চেক করতে বলা হয়েছে । একই সঙ্গে কনস্ট্রাকশনে কারা কাজ করছে, তাদেরও ডেটা সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের থেকে রোগী কল্যাণ সমিতিগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল । আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা কার্যকর করা হচ্ছে । এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় থাকবেন বিভিন্ন হাসপাতালে প্রিন্সিপাল । থাকবেন জুনিয়র ডাক্তার ও সিনিয়র ডাক্তারদের একজন করে প্রতিনিধি ৷ সমিতিতে থাকবেন নার্সদের একজন প্রতিনিধি এবং একজন জন প্রতিনিধিও ।
এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যসচিবকে দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "ওরা তো ছোট । চিঠি দিতেই পারে । তবে এদিনের বৈঠকের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই ।"