কলকাতা, 1 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ ৷ এক মাসের মধ্যেই কলকাতায় হকার সমীক্ষা শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে । সেই মতো সোমবার থেকে ময়দানে নেমে পড়ল কলকাতা পুরনিগম ৷ এদিন শহরের পাঁচটি এলাকায় শুরু হল ডিজিটাল হকার সমীক্ষা । হাতিবাগান এলাকায় এই সমীক্ষার কাজে নেতৃত্ব দিলেন কলকাতা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ও মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি হাই পাওয়ার কমিটির সদস্য অতীন ঘোষ । নিউ মার্কেটে দায়িত্বে ছিলেন হাই পাওয়ার কমিটি আরেক সদস্য ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ।
হাতিবাগান, নিউমার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেল, বেহালা, গড়িয়া-সহ পাঁচ জায়গায় অ্যাপের সাহায্যে শুরু হল ডিজিটাল হকার সমীক্ষা । এ দিন 2 নম্বর বোরোর সামনে থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু করে কলকাতা পুরনিগমের প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে দেন অতীন ঘোষ । পুলিশ ও পুরনিগমের প্রতিনিধি দল প্রতিটি হকারের কাছে গিয়ে তাঁদের নাম-সহ একাধিক তথ্য জানেন । এরপর সেগুলি ফোনে সরকারি অ্যাপ নথিভুক্ত করেন ।
এ দিন হকারদের আধার কার্ডের ছবি তোলা হয় ৷ পাশাপাশি স্টলে দাঁড় করিয়ে হকারের ছবিও নেওয়া হয় । তাঁদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, 2015 সালে যে নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল তাতে তাঁদের নাম আছে কি না । ছোট ছোট দল করে একের পর এক হকারদের এই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন পুরনিগম ও পুলিশের দল । হকার সমীক্ষা প্রসঙ্গে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, "হকারদের তথ্য নথিভুক্ত কাজ হাতিবাগান চত্ত্বরে আজ থেকে শুরু হল । একটা অ্যাপ তৈরি হয়েছে যেটায় আধার কার্ড, প্যান কার্ড লিঙ্ক করে একজন হকারের সমস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে ।"
বহু জায়গায় ক্যারেজ ওয়ে'র (গাড়ি চলাচলের রাস্তা) দিকে মুখ করে হকার বসে ব্যবসা করছেন ৷ তাঁরা কি এই সমীক্ষায় নথিভুক্ত হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অতীন ঘোষ জানান, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাউকে ক্যারেজ ওয়ে'র দিকে মুখ করে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না । স্টলের পিছনের অংশ ঢেকে দেওয়া হবে ।
সমীক্ষার রিপোর্ট জমার পরে ফের এই নিয়ে আলোচনা হবে । তারপরেই কমিটির তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ হবে । এ দিকে নিউমার্কেটে এ দিন সমীক্ষার বেরিয়ে ফের রাস্তা থেকে হকার তুললেন দেবাশিস কুমার । সরালেন প্লাস্টিক । স্থায়ী ব্যবসায়ীদের দোকানের সামনে দখল করা অংশ 24 ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিলেন হকারদের । পাশাপাশি এ দিন চলল ডিজিটাল সমীক্ষা ।