ETV Bharat / state

বার্ড ফ্লু আতঙ্ক মালদায়, শিশু আক্রান্তের ঘটনায় জেলায় আসছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা - BIRD FLU SCARE IN MALDA - BIRD FLU SCARE IN MALDA

Bird Flu Scare: জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে ভর্তি ৷ পুণে থেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে 12 জুন জানা গেল শিশু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত ৷ তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদায় ৷ শীঘ্রই জেলা পরিদর্শনে যাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷

Bird Flu
মালদায় বার্ড ফ্লু আত্ঙ্ক (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 12, 2024, 10:36 PM IST

Updated : Jun 12, 2024, 11:06 PM IST

মালদা, 12 জুন: পাঁচ বছরের মাথায় ফের বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ৷ 2019 সালে শেষবার বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল বাংলাদেশ ও পুণেতে ৷ তারপর দেশে এই রোগের কথা আর তেমন শোনা যায়নি ৷ কিন্তু এবার মালদার কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে চার বছরের এক শিশুর রক্তে ব্লাড ফ্লু’র জীবাণু ধরা পড়েছে ৷ শুধু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই বার্তা দিয়েছে ৷ এই কথা চাউর হতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে ৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানিয়েছেন শীঘ্রই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় আসবেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷

মালদায় বার্ড ফ্লু (নিজস্ব ভিডিয়ো)

চার বছরের আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে ৷ বাবা পেশায় মাছ বিক্রেতা, মা গৃহবধূ ৷ তাঁদের একমাত্র ছেলে গত জানুয়ারিতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে তাকে নিয়ে গিয়েও ফল না-মেলায় ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যালে ৷ একমাস সেখানে চিকিৎসা চলার পর মার্চে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷

সেখানেও তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে তমন কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তাই রক্তের নমুনা পাঠানো হয় পুণের নাইসেডে ৷ সেখানে রক্ত পরীক্ষার পর বুধবার তার রিপোর্ট পায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷ জানা যায়, শিশুটি H9N2 ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ সাধারণত এই ভাইরাসের প্রকোপ খুব একটা দেখা যায় না ৷ পাখি থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় ৷ মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না ৷ দীর্ঘ চিকিৎসার পর শিশুটি এখন খানিকটা সুস্থ ৷

তবে তার ফুসফুস অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ শিশুর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা ৷ তিনি বলেন, "প্রথমে পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ তারপর জ্বর আর কাশি ৷ কিছুতেই সারছিল না ৷ বাচ্চাকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করি ৷ সেখানে জানানো হয়, ছেলে ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ মালদা থেকে কলকাতা রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ছেলের ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ওখানে দু'মাস চিকিৎসার পর ছেলে ভালো হয়ে যায় ৷ শুধু শ্বাসকষ্ট ছিল ৷ চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন, শ্বাসকষ্ট থাকবে ৷ ফুসফুস বদলাতে হবে ৷ তবে বড় হওয়ার পর অপারেশন করাতে হবে ৷ ছোটতে অপারেশন করালে ছোট আকারের প্লাস্টিকের ফুসফুস ওর শরীরে বসবে ৷ বড় হলে শরীর বাড়লেও ফুসফুস ছোট থেকে যাবে ৷ তাই ছেলে বড় হলে অপারেশন করাতে বলেছিলেন ডাক্তাররা ৷ প্রথমদিকে অক্সিজেন ছাড়া ও থাকতে পারত না ৷ এখন দিনে দু'ঘণ্টা ওকে অক্সিজেন দিতে হয় ৷ ওর পায়ে একটা পোকা কেটেছিল ৷ আমার মনে হয়, সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে ৷ তবে এখন আমার ছেলে ভালো আছে ৷"

বঙ্গে বার্ড ফ্লু-এ আক্রান্ত চার বছরের শিশু, মানব শরীরে সংক্রমণে বাড়ছে আতঙ্ক !

শিশুটির কাকার বক্তব্য, "অক্সিজেন না দিলে ওর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে ৷ ডাক্তার বলে দিয়েছেন, ওকে অক্সিজেন দিয়েই রাখতে হবে ৷ প্রতিদিন 350 টাকার অক্সিজেন লাগছে ৷ ধার দেনা করে ছেলের চিকিৎসা চলছে ৷ ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, ফুসফুস না পালটালে ছেলে ঠিক হবে না ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ফুসফুস বদল করতে অনেক টাকা প্রয়োজন ৷ সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি ৷ বাচ্চাকে সুস্থ করতে আমরা সরকারি সহায়তা দাবি করছি ৷"

বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, "বাচ্চাটি জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে 26 জানুয়ারি মালদা মেডিক্যালে ভর্তি হয় ৷ শ্বাসকষ্ট থাকায় মার্চে মালদা থেকে তাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যালে রেফার করা হয় ৷ সেখানে একাধিক রক্ত পরীক্ষায় তার কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি ৷ তাই তার রক্তের নমুনা এনআইবি পুণেতে পাঠানো হয় ৷ সেখানে বাচ্চাটির রক্তে H9N2 ভাইরাস ধরা পড়ে ৷ আমরা বার্ড ফ্লু বলতে সাধারণত H5N1 ভাইরাস সংক্রমণ বুঝি ৷ H9N2 খুব বিরল ৷ এর আগে মহারাষ্ট্রে এর একটি কেস রেজিস্টার্ড রয়েছে ৷ চিনে কিছু পাওয়া গিয়েছে ৷ এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হয় না বললেই চলে ৷"

মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্লার্ড ফ্লু ! সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

তিনি আরও বলেন,"মালদার প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর ওই এলাকার সমস্ত পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে ৷ বাচ্চাটির পরিবারের 14 জন সদস্যেরও রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ কোথাও এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি ৷ এলাকার লোকজনের মধ্যেও এই রোগ ধরা পড়েনি ৷ মে মাসে বাচ্চাটিকে অক্সিজেন সাপোর্টে এনআরএস থেকে ছুটি দেওয়া হয় ৷ সম্ভবত আজই নাইসেড থেকে বাচ্চাটির রক্তের ফাইনাল রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে এসেছে ৷ আগামী দু'একদিনের মধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জেলায় আসবেন ৷ তাঁরা সরেজমিনে সব খতিয়ে দেখবেন ৷ তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করব ৷"

তবে শুধু মালদাতে নয়, বার্ড ফ্লুয়ে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার আড়াই বছরের একটি শিশু ৷ গত ফেব্রুয়ারিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হয়ে সে কলকাতায় এসেছিল ৷ এখানে এসে তার জ্বর ও সর্দি-কাশি হয় ৷ রক্ত পরীক্ষায় তার বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে ৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই বাচ্চাটি এদেশে বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়নি ৷ তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়নি ৷ যে বিমানে বাচ্চাটি কলকাতায় এসেছিল সেই বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল ৷ কারও রক্তে বার্ড ফ্লুয়ের জীবাণু ধরা পড়েনি ৷

বার্ড ফ্লু : ভারতের সামনে এখন আরও একটা ভাইরাসের আতঙ্ক ?

মালদা, 12 জুন: পাঁচ বছরের মাথায় ফের বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ৷ 2019 সালে শেষবার বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল বাংলাদেশ ও পুণেতে ৷ তারপর দেশে এই রোগের কথা আর তেমন শোনা যায়নি ৷ কিন্তু এবার মালদার কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে চার বছরের এক শিশুর রক্তে ব্লাড ফ্লু’র জীবাণু ধরা পড়েছে ৷ শুধু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই বার্তা দিয়েছে ৷ এই কথা চাউর হতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে ৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানিয়েছেন শীঘ্রই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় আসবেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ৷

মালদায় বার্ড ফ্লু (নিজস্ব ভিডিয়ো)

চার বছরের আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে ৷ বাবা পেশায় মাছ বিক্রেতা, মা গৃহবধূ ৷ তাঁদের একমাত্র ছেলে গত জানুয়ারিতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে তাকে নিয়ে গিয়েও ফল না-মেলায় ভর্তি করা হয় মালদা মেডিক্যালে ৷ একমাস সেখানে চিকিৎসা চলার পর মার্চে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷

সেখানেও তার রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে তমন কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তাই রক্তের নমুনা পাঠানো হয় পুণের নাইসেডে ৷ সেখানে রক্ত পরীক্ষার পর বুধবার তার রিপোর্ট পায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷ জানা যায়, শিশুটি H9N2 ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ সাধারণত এই ভাইরাসের প্রকোপ খুব একটা দেখা যায় না ৷ পাখি থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় ৷ মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না ৷ দীর্ঘ চিকিৎসার পর শিশুটি এখন খানিকটা সুস্থ ৷

তবে তার ফুসফুস অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ শিশুর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা ৷ তিনি বলেন, "প্রথমে পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ তারপর জ্বর আর কাশি ৷ কিছুতেই সারছিল না ৷ বাচ্চাকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করি ৷ সেখানে জানানো হয়, ছেলে ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ মালদা থেকে কলকাতা রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ছেলের ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ওখানে দু'মাস চিকিৎসার পর ছেলে ভালো হয়ে যায় ৷ শুধু শ্বাসকষ্ট ছিল ৷ চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন, শ্বাসকষ্ট থাকবে ৷ ফুসফুস বদলাতে হবে ৷ তবে বড় হওয়ার পর অপারেশন করাতে হবে ৷ ছোটতে অপারেশন করালে ছোট আকারের প্লাস্টিকের ফুসফুস ওর শরীরে বসবে ৷ বড় হলে শরীর বাড়লেও ফুসফুস ছোট থেকে যাবে ৷ তাই ছেলে বড় হলে অপারেশন করাতে বলেছিলেন ডাক্তাররা ৷ প্রথমদিকে অক্সিজেন ছাড়া ও থাকতে পারত না ৷ এখন দিনে দু'ঘণ্টা ওকে অক্সিজেন দিতে হয় ৷ ওর পায়ে একটা পোকা কেটেছিল ৷ আমার মনে হয়, সেখান থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে ৷ তবে এখন আমার ছেলে ভালো আছে ৷"

বঙ্গে বার্ড ফ্লু-এ আক্রান্ত চার বছরের শিশু, মানব শরীরে সংক্রমণে বাড়ছে আতঙ্ক !

শিশুটির কাকার বক্তব্য, "অক্সিজেন না দিলে ওর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে ৷ ডাক্তার বলে দিয়েছেন, ওকে অক্সিজেন দিয়েই রাখতে হবে ৷ প্রতিদিন 350 টাকার অক্সিজেন লাগছে ৷ ধার দেনা করে ছেলের চিকিৎসা চলছে ৷ ডাক্তাররা বলে দিয়েছেন, ফুসফুস না পালটালে ছেলে ঠিক হবে না ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ফুসফুস বদল করতে অনেক টাকা প্রয়োজন ৷ সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি ৷ বাচ্চাকে সুস্থ করতে আমরা সরকারি সহায়তা দাবি করছি ৷"

বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, "বাচ্চাটি জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে 26 জানুয়ারি মালদা মেডিক্যালে ভর্তি হয় ৷ শ্বাসকষ্ট থাকায় মার্চে মালদা থেকে তাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যালে রেফার করা হয় ৷ সেখানে একাধিক রক্ত পরীক্ষায় তার কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি ৷ তাই তার রক্তের নমুনা এনআইবি পুণেতে পাঠানো হয় ৷ সেখানে বাচ্চাটির রক্তে H9N2 ভাইরাস ধরা পড়ে ৷ আমরা বার্ড ফ্লু বলতে সাধারণত H5N1 ভাইরাস সংক্রমণ বুঝি ৷ H9N2 খুব বিরল ৷ এর আগে মহারাষ্ট্রে এর একটি কেস রেজিস্টার্ড রয়েছে ৷ চিনে কিছু পাওয়া গিয়েছে ৷ এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হয় না বললেই চলে ৷"

মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ব্লার্ড ফ্লু ! সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

তিনি আরও বলেন,"মালদার প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর ওই এলাকার সমস্ত পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে ৷ বাচ্চাটির পরিবারের 14 জন সদস্যেরও রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ কোথাও এই ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি ৷ এলাকার লোকজনের মধ্যেও এই রোগ ধরা পড়েনি ৷ মে মাসে বাচ্চাটিকে অক্সিজেন সাপোর্টে এনআরএস থেকে ছুটি দেওয়া হয় ৷ সম্ভবত আজই নাইসেড থেকে বাচ্চাটির রক্তের ফাইনাল রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে এসেছে ৷ আগামী দু'একদিনের মধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জেলায় আসবেন ৷ তাঁরা সরেজমিনে সব খতিয়ে দেখবেন ৷ তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করব ৷"

তবে শুধু মালদাতে নয়, বার্ড ফ্লুয়ে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার আড়াই বছরের একটি শিশু ৷ গত ফেব্রুয়ারিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হয়ে সে কলকাতায় এসেছিল ৷ এখানে এসে তার জ্বর ও সর্দি-কাশি হয় ৷ রক্ত পরীক্ষায় তার বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে ৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই বাচ্চাটি এদেশে বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়নি ৷ তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়নি ৷ যে বিমানে বাচ্চাটি কলকাতায় এসেছিল সেই বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল ৷ কারও রক্তে বার্ড ফ্লুয়ের জীবাণু ধরা পড়েনি ৷

বার্ড ফ্লু : ভারতের সামনে এখন আরও একটা ভাইরাসের আতঙ্ক ?

Last Updated : Jun 12, 2024, 11:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.