কাকদ্বীপ, 19 সেপ্টেম্বর: সপ্তমুখী নদীর ব্রিজের নীচ থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে কাকদ্বীপ থানার অন্তর্গত গঙ্গাধরপুর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয় এলাকাবাসীরা কাকদ্বীপের গঙ্গাধরপুর এলাকায় সপ্তমুখী নদীর ব্রিজের নীচ থেকে পচা দুর্গন্ধ পেতে থাকে ৷ বুধবার রাতে কৌতুহলবশত বেশ কয়েকজন এলাকাবাসীরা পচা গন্ধের উৎস সন্ধানে ব্রিজের নীচে নামে। এরপর স্থানীয়রা দেখতে পায় একটি বস্তা থেকে এই পচা দুর্গন্ধটি বের হচ্ছে ৷ স্থানীয়রাই ওই বস্তাটি উদ্ধার করে খুলে দেখে ওই বস্তার মধ্যে এক মহিলা পচাগলা দেহ। এরপর এলাকাবাসীরাই তড়িঘড়ি দেয় কাকদ্বীপ থানায়।
ঘটনাস্থলে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ পৌঁছে বস্তাবন্দি পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মহিলার বয়স আনুমানিক 25 বছরের আশেপাশে ৷ 10-12 দিন আগে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করেছে পুলিশ ৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই মহিলাকে এই ব্রিজের নীচে বস্তাবন্দি করে ফেলে চলে গিয়েছে ৷ তবে কে বাা কারা এটা করেছে, তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজে কোনও আলো নেই ৷ এর ফলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷ সপ্তমুখী নদীর ব্রিজের তলায় অন্ধকারের আশ্রয় নিয়ে দুষ্কৃতীরা অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটাছে ৷ তবে এই মহিলাকে কীভাবে খুন করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। কাকদ্বীপ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যে কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ মৃত মহিলা নাম পরিচয় জানার ইতিমধ্যে চেষ্টা শুরু করা হয়েছে ৷ মহিলার মৃত্যুর পিছনে আগের কোনও আক্রোশ, নাকি অন্যকিছু লুকিয়ে রয়েছে সেই সব তথ্য খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবে আশাবাদী পুলিশ।