কলকাতা, 9 জুন: কালীঘাটে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে দেবাংশুকে নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁকে নাকি বেলা 12টা'র আগে দেখা যায়নি, বৈঠকে বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ রবিবার তারই পালটা সোশাল মিডিয়া পোস্টে হিসাব দিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ এমনকী তিনি সকাল থেকে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে কী কী করেছেন তাও পোস্টে সামনে এনেছেন দেবাংশু ৷ আর এই নিয়েই ফের জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে ৷
দেবাংশু তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "সকাল ছ'টায় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে, এক বাটি ছাতুর সরবত খেয়ে রোজ বেরিয়ে পড়তাম সকাল আটটার মধ্যে। প্রবল রোদে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রচার চলত। তারপর ঠিকানায় ফিরে একটু গা ধুয়ে, দুপুরের খাওয়া সেরে পুনরায় তিনটে নাগাদ রওনা দিতাম। চলত রাত্রি ন'টা পর্যন্ত ৷ কখনও কখনও সেটা সাড়ে 10টাও বাজত।"
এর সঙ্গেই দেবাংশু লিখেছেন, "বাড়িতে ফিরে খাবার খেয়ে শুরু হত বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের সাথে বাড়ির অফিসে অভ্যন্তরীণ মিটিং, কখনও কখনও সেসব মিটিং চলেছে রাত্রি দু'টো পর্যন্তও। মিটিং শেষে ঘুমিয়ে আবার পরের দিন সকালে ছ'টায় ওঠা। তমলুকের দলীয় কর্মীরা, যারা সেই বাড়িতে প্রায়শই আসতেন তারা সকলেই এই রুটিন জানেন।" শুধু তাই নয়, তিনি কার্যত দলকে চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, পরিশ্রমে নিজের 101 শতাংশ দিয়েছেন। দেবাংশুর কথায়, "যা করতে পারি তার বেশি করেছি। আমার টিম, আই প্যাকের কয়েকজন এবং পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় উন্মাদের মত পরিশ্রম করেছে। সাথে প্রাণপাত করে দিয়েছেন বুথ স্তরের দলীয় কর্মীরা ৷"
পাশাপাশি দেবাংশু আরও লিখেছেন, "মার্চে ওজন ছিল 83 কিলো। যা আজ কমে 77 ৷ সৌজন্যে শেষ আড়াই মাস। এই ছয় কিলো ওজনের বিনিময়ে ছয় লক্ষ 87 হাজার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, আশীর্বাদ পেয়েছি। সেটাই আমার কাছে এই নির্বাচনের নির্যাস ৷ আগামী দিনে এই রাজনৈতিক নদী পথ আমায় কোন মোহনায় নিয়ে গিয়ে ফেলবে জানিনা.. শুধু এটুকু জানি, আমার নৌকো খোয়া গেছে, কেবল নিজেকে ভাসিয়ে, বাঁচিয়ে রেখেছি এই অগাধ জলরাশির পৃষ্ঠ দেশে..। আমি কৃতজ্ঞ নেত্রী আর দাদার কাছে। এত অল্প বয়সে তাঁরা আমায় এই সুযোগ দিয়েছেন ৷"