পাথরপ্রতিমা, 29 জুলাই: নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ৷ সেই সময় একটি কুমির আসমাউদ্দিন শেখকে গভীর জলে টেনে নিয়ে চলে যায় ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা এলাকায় ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বন দফতর ও কোস্টাল থানা ৷
জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চাশের আসমাউদ্দিন শেখ নিজেও পেশায় মৎস্যজীবী ৷ রবিবার নদীর তীরে জাল ফেলছিলেন মৎস্যজীবীরা ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসমাউদ্দিন নিজেও ৷ তিনি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বাকিদের সঙ্গে মাছ নিয়ে কথা বলছিলেন ৷ হঠাৎই, জল থেকে একটি কুমির তাঁর পায়ে সজোরে লেজ দিয়ে আঘাত করে ৷ যার জেরে জলে পড়ে যান আসমাউদ্দিন শেখ ৷ আর তখনই তাঁকে কামড়ে কুমিরটি গভীর জলে টেনে নিয়ে যায় ৷
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাকি মৎস্যজীবীরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও, জলে কুমিরের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তাঁরা ৷ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা ও বন দফতরের কর্মীরা ৷ রামগঙ্গা রেঞ্জের তরফে নদীতে গভীর জলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে গতকাল থেকে ৷ তবে, আসমাউদ্দিন শেখকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি ৷ রামগঙ্গার রেঞ্জার কবীর হোসেন জানিয়েছেন, নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি আছে ৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীকে পাওয়া যাবে, ততক্ষণ তাঁর খোঁজ চালাবেন তাঁরা ৷
আসমাউদ্দিন মা বলেন, "প্রতিদিনের মতো রবিবার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মাছ ধরার ব্যাপার ও পাড়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল ৷ হঠাৎ করে একটি কুমির পিছন থেকে হামলা চালায় ৷ ওকে টানতে টানতে জলে নিয়ে যায় ৷ বন্ধুবান্ধবরা মুহূর্তের মধ্যে নদীতে ঝাঁপ মেরে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি ৷"
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে ওই একই এলাকা থেকে কুমিরের পেটে গিয়েছিল এক নাবালক ৷ তিনদিন পর তার দেহ উদ্ধার হয় ৷ মৃত নাবালকের পরিবারকে 5 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও করেছিল রাজ্য সরকার ৷ এবারেও সেই একই জায়গা থেকে আসমাউদ্দিনকে টেনে নিয়ে গেল কুমির ৷