কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর: পুজোতেও রাজ্যজুড়ে ধারাবাহিক প্রতিবাদী মিটিং-মিছিলের পরিকল্পনা বামেদের ৷ 1 অক্টোবর চিকিৎসকদের মিছিল দিয়ে তা শুরু হবে ৷ 2 তারিখ মহালয়ার ভোরের দখল নেবে মেয়েরা ৷ আর সবটাই চলবে নাগরিক সমাজের নামে ৷ বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট সূত্রে এমনটাই খবর ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাম নেতা বলেন, "উৎসবে ফেরানোর নামে আরজি কর ইস্যু কিংবা 'দুর্নীতি-দুষ্কৃতী সাম্রাজ্য' চালিয়ে যেতে দেব না ৷ প্রতিবাদ জারি থাকবে ৷ হয় শুনানি, না হয় সুনামি ৷ রুখতে পারবেন না মমতা ৷"
সূত্রের দাবি, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ 1 তারিখ চিকিৎসকদের মিছিল এবং 2 তারিখ মহালয়ার ভোরের দখল কর্মসূচির পর 3 তারিখও শহরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মিটিং-মিছিল করা হবে ৷ শুধুমাত্র শহর কলকাতায় নয়, শহরতলিতেও ছড়িয়ে পড়বে এই আন্দোলনের ঢেউ ৷
বারাসত থেকে আরজি কর হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷ যা বারাসত-বিরাটি হয়ে আরজি হাসপাতালে পৌঁছাবে ৷ 7 অক্টোবর প্যালেস্তাইন সংহতি দিসব পালন করা হবে বামেদের ব্যানারে ৷ ফলে, 'কলকাতা পুলিশ কিংবা রাজ্য পুলিশ চাইলেও মিটিং মিছিল আটকাতে পারবে না', দাবি এক বামনেতার ৷
এই বিষয়ে সিপি(আই)এম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম 'কিছু জানি না' মন্তব্য করলেও ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, "মুভমেন্ট বা আন্দোলন এর প্রকৃত অর্থ অবিরত ৷ কোনও হুকুমদারি চলবে না ৷ কোন ফর্মে হবে, কোন ফোরামে হবে সেগুলি মানুষ ঠিক করবেন ৷ বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে ৷ যেভাবে 27 তারিখের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমরা আগেও বলেছিলাম ৷ আবারও বলছি, হয় শুনানি হবে না হলে সুনামি হবে ৷ চিকিৎসক নাগরিক সমাজ মহিলাবৃন্দ বামপন্থী সংগঠনগুলি অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যে যেখানে পারছেন আন্দোলন করছেন ৷ আন্দোলন করবেন ৷ সবাই মিলে একটা সমবেত প্রয়াস চালানো হচ্ছে ৷ খুব শীঘ্রই সেই পরিকল্পনা বা আন্দোলনের বিষয় ঘোষণা করা হবে ৷ আমরা বামফ্রন্টের তরফে খুব শীঘ্রই আলোচনা করে সেগুলি ঘোষণা করব ৷"
পুজোতে আন্দোলন হবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, "বই পড়ুন, বই পড়ান, রাজনীতিতে সচেতন হোন" থিমে পুজোতেও প্রতিবাদ সংঘটিত হবে ৷ শারদ উৎসবের সময় আমাদের বুকস্টল হবে ৷ তাকে ঘিরে নানারকম পোস্টার ব্যানার, নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করা হবে ৷ প্রগতিশীল সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার প্রচার প্রসার হবে ৷ আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চাওয়া হবে ৷"