কলকাতা, 31 জানুয়ারি: কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিক পদে মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে বর্তমান বোর্ড ৷ এইরকমই অভিযোগ বিরোধীদের। সম্প্রতি কলকাতা কর্পোরেশনের বাজার বিভাগের চিফ ম্যানেজার পদের আধিকারিকদের মেয়াদ বৃদ্ধি হয় ৷ এরপর ডিজি সিভিল পদ-সহ আরও বেশ কয়েকটি উচ্চ পদাধারিকদেরও মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়েই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
লোকসভা ভোট আর মাস কয়েকের অপেক্ষা। তার আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, একই পদে কোনও আধিকারিক তিন বছরের বেশি সময় থাকলে তাকে সরিয়ে দিতে হবে। অন্য দিকে অবসরপ্রাপ্তদের কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশিকার পরেও কলকাতা পৌরনিগমের তরফে একের পর এক বিভাগীয় উচ্চপদের আধিকারিকদের কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা রবিন দেব বলেন, "জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে লোকসভার প্রস্তুতি কালে প্রতিবার এই নির্দেশিকা দেওয়া । একই জেলার বা মিউনসিপ্যালিটির হলে তিন বছরের বেশি দায়িত্বে থাকলে তাকে বদলি করতে হয়। সেটা মান্যতা না দিলে নির্বাচনী পরিদর্শকরা এসে এদের সরাবে বা বসিয়ে দেবে। এদের দাগি আধিকারিক হিসেবে ধরা হয়। এই সরকার এগুলো মানে না। আমরা এই সমস্ত আধিকারিকদের তথ্য নির্বাচন কমিশকে পাঠাব। যাতে কোনও ভাবে নির্বাচনের কোনও কাজে এদের যুক্ত করা না হয়। এটা নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজ করা।"
সিপিএম নেতার মতো রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "এই সরকার কিছু মানে না। আদালত, কমিশনকেও তোয়াক্কা করে না। নির্বাচন কমিশন যা করে সেটা মানুষকে যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য নয় ৷ শুধু শান্তিপূর্ণ না অবাধ নির্বাচন করতে এই পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানলে শাসকদল নির্বাচনে জিততে পারবে না।" ক্ষমতা বাজায় রাখতেই এই উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করছে শাসকদল ৷
আরও পড়ুন: