জলপাইগুড়ি, 5 অগস্ট: 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের কাজ করেও বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না ঠিকাদাররা। নির্বাচনে আধাসামরিক বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন কাজ করিয়েও টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আগামীতে পুর্ত দফতরের কাজ বয়কট করতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ঠিকাদাররা।
এদিন জলপাইগুড়ি পুর্তদপ্তরের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান ঠিকাদাররা। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের কাজ করেও বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না বরাদ প্রাপ্ত ঠিকাকর্মীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ঠিকাদাররা। নির্বাচন কমিশনের কাজ বয়কটের হুমকিও দেন ঠিকাদাররা। প্রতিবাদে ধর্নায় বসছেন তাঁরা। এরপর লোকসভা নির্বাচনের আগে পুর্ত দফতরের পক্ষ থেকে 17 শতাংশ টাকা দেওয়া হয় ঠিকাদারদের।
বিধানসভা নির্বাচনের আধাসামরিক বাহিনীর থাকায় ব্যবস্থা-সহ আনুসঙ্গিক কাজ করেও টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পুর্ত দফতরের অধিনে সিভিল ওয়ার্কের ঠিকাদারদের বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে। বকেয়া টাকা না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদাররা। পুর্ত দফতর 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনের কাজ করিয়ে 70 জন ঠিকাদারের প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা মেটায়নি বলেও অভিযোগ।
পুর্ত দফতরের বরাদপ্রাপ্ত ঠিকা কর্মী হিমাদ্রি কর অভিযোগ করে বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনে পুর্ত দফতরের নির্দেশ মতো আধাসামরিক বাহিনীদের থাকার ব্যবস্থা-সহ আনুসঙ্গিক কাজ আমরা করেছি। আধা সামরিক তাদের ক্যাম্প তৈরী করা থেকে নির্বাচনের পর ক্যাম্প খোলা সমস্ত কাজ আমরা করেছি। কিন্তু বিল জমা দেওয়ার পরেও আমরা কাজের টাকা পাচ্ছি না। তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আমরা এখনো বকেয়া টাকা পাইনি। আমাদের সঙ্গে প্রচুর শ্রমিক জড়িত তাদের বিল দেব কী করে ? আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তাই ফের আন্দোলনে বসেছি।"
ঠিকাদারদের অভিযোগ, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের টাকা চলে এসেছে। তা দেওয়াও হচ্ছে কিন্তু 2021 সালের কাজের কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না ৷ তাঁর কথায়, "পুর্ত দফতরের আর শুকনো আশ্বাসে আমরা মানব না। আগে আমাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হবে তারপর আমরা শুনব কথা।" এদিকে পুর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পার্থ হালদার এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।