কলকাতা, 2 মে: তৃতীয় দফা ভোটের আগে খাস কলকাতায় খুন ৷ কংগ্রেস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার জেলা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে হাত শিবির ৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক সুমন রায় চৌধুরী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক খুনোখুনি শুরু করলেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে আমাদের নেতাকে খুন করা হয়েছে । কারণ তৃণমূল রাজনৈতিক পরিসরে বিরোধীদের চায় না । তবে আমরা পালটা খুনোখুনির রাজনীতিতে যাব না । বরং, বাংলার মানুষের কাছে জানতে চাইব, বাংলায় খুনোখুনির রাজনীতি চান কী চান না !"
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার কাইজার স্ট্রিটে । মৃত ব্যক্তির নাম ইমাম উদ্দিন আনসারি । কংগ্রেস সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার 36 নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তিনি ৷ তিনি নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা । এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত মোট তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ৷ তাদের নারকেলডাঙ্গা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
অভিযোগ, ইমাম উদ্দিনকে 6-7 জন দুষ্কৃতী এসে এলাকায় প্রথমে ঘিরে ফেলে ৷ এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাগাতার কোপাতে থাকে । ঘটনাটি যেখানে ঘটে সেটি জনবহুল হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা তড়িঘড়ি ছুটে আসেন। ইমাম উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নীল রতন হাসপাতালে । চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে । ঘটনার পরে কাইজার স্ট্রিটের ওই জায়গায় আসেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা। পাশাপাশি স্থানীয় থানা ও লালবাজারে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এসে পৌঁছন । স্থানীয় নারকেলডাঙ্গা থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ থানার তরফ থেকে ওই এলাকার আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, ইমাম উদ্দিনকে এভাবে রাস্তায় ঘিরে ধরে হত্যা করা হবে কল্পনাও করতে পারিনি এলাকার বাসিন্দারা । এলাকার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, ইমাম উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় কয়েকজনের মতবিরোধ চলছিল । ইমাম উদ্দিনের পরিবারের তরফ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তাদের দাবি, তাঁকে বেশ কয়েকবার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল ।
মৃত যেহেতু কংগ্রেস নেতা তাই এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কি না তাও ভালোভাবে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ পাশাপাশি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে । ইমাম উদ্দিনের বুকে এবং পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর দাগ ছিল বলে লালবাজার সূত্রে খবর ।
আরও পড়ুন: