কলকাতা, 16 মে: হাতে গোনা আর মাত্র 15টা দিন সময়। 1 জুন ভোটগ্রহণ কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে। ফলে, কোনওভাবেই 'গুরুত্বপূর্ণ' সময় নষ্ট করতে চায় না বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। যে কারণে বুধবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস অফিসে এসে 'ভুল বোঝাবুঝি' মিটিয়ে নিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। 'ক্ষতে প্রলেপ' দিয়ে উভয় নেতৃত্ব বাম-কংগ্রেস জোটকে শক্তিশালী করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন।
গতকাল দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ভবানীপুর দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক বসেছিল। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম ও তাঁর স্বামী ফুয়াদ হালিম উপস্থিত হন। আগে থেকেই এলাকার সিপিএম নেতা সত্যব্রত ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাপতি প্রদীপ প্রসাদের নেতৃত্বে এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্বও ছিলেন। কোথায় 'গোলযোগ/ভুল বোঝাবুঝি' ছিল তা উভয়পক্ষ সকলের সামনে ব্যাখ্যা করেন। কংগ্রেস নেতাদের কেউ কেউ নিজেদের মতামতের কথা জানান। পরে সিপিএম নেতা ডক্টর ফুয়াদ হালিম বলেন, "সময়ের দাবি মেনে গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তৃণমূল বিজেপিকে পরাস্ত করতে বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা ধরেছে হাত। দক্ষিণ কলকাতায় তা বাকি ছিল। অবশেষে সম্পন্ন হল।"
বাম-কংগ্রেস সমঝোতার নিরিখে 'ক্ষুব্ধ' হয়েছিলেন প্রদীপ প্রসাদ। আগেই বলেছিলেন, "গত 2016 এবং 2021 সালে সিপিএমের সঙ্গে জোট হয়েছিল। দু’বারই সারা কলকাতায় কোথাও কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন না। শুধু কলকতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের 4টে বিধানসভায় কংগ্রেস লড়েছিল। তবে কোন অঙ্কে কলকাতা দক্ষিণ আসন সিপিইএম ঘোষণা করল ? বিমানবাবু বলছেন, জোট নয় আসন সমঝোতা, তাহলে 12টি আসনে লড়ে বাকি 30টা আসনে কেন কংগ্রেসীরা বামেদের নতুন প্রজন্মের উঠতি নেতাদের প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব নিতে যাবে?"
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘সবাই জানে ফলাফল কী হবে, তারপরেও দলীয় পতাকা গুটিয়ে পার্টি অফিসে রেখে দেওয়া আত্মহত্যার সামিল হচ্ছে ৷ ‘বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোট’ কেন লেখা হচ্ছে ? কেন লেখা হচ্ছে না, ‘বাম-কংগ্রেস গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোট ?’ দেওয়ালে যদি ‘জোট’ কথাটা লেখা হয়, তাহলে বিমানবাবুদের মুখে আসন সমঝোতার বুলি কেন ?’’ আজকের বৈঠক শেষে সেই প্রদীপ প্রসাদ বলেন, ‘‘কংগ্রেসের কোনও কোনও নেতা জেলাকে অন্ধকারে রেখে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেন । আজ প্রার্থী ঘোষণার 75 দিন বাদে প্রার্থী নিজে এসেছেন। বৈঠক হয়েছে। আমরা তাঁর সমৰ্থনে প্রচার শুরু করব ।’’
আরও পড়ুন: