কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের দ্বন্দ্ব। বৃহস্পতিবার বাজেট পেশের আগে এই দ্বন্দ্ব দেখ যায়৷ বাজেট পেশের দিন অধিবেশনের শুরুতেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার অন্দরে রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। আর সেই সময় তা নিয়ে শাসক এবং বিরোধী দ্বন্দ্ব দেখা গেল। বিজেপি বিধায়কদের রাজ্য সঙ্গীত 'বাংলার মাটি বাংলার জল' চলাকালীন জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা গেল।
আর তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় সঙ্গীতকে আমরা সম্মান করি।জাতীয় সঙ্গীত আমরাও গাই, তবে যেকোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে। এই ভাবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করেছে বিজেপি।’’ এই ঘটনার নিন্দা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের পর রীতিমতো বিধানসভায় হইচই শুরু হয়ে যায়। অধ্যক্ষ নিজে বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে আমি অল ইন্ডিয়া স্পিকারস কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে আমি দেখেছি, রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে আর জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ বিরোধীদল যে আচরণ করছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার ভেতরে এই নিয়ে মুখ না খুললেও বাইরে প্রতিক্রিয়া দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দাবি করেছেন বাংলার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কি হয়। বাংলার স্টেট সঙ্গীত আমরা মানব না। অধ্যক্ষ অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন। উনি যদি বলতেন একটা সুন্দর বাংলা গান গাইব, তাতে কোনও আপত্তির বিষয় ছিল না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেশ একটাই৷ ভারতবর্ষকে এভাবে দু’টুকরো করা যাবে না।’’
আরও পড়ুন: