জলপাইগুড়ি, 2 এপ্রিল: ময়নাগুড়িতে ত্রাণ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে প্রশাসনের একটু সময় লাগবে। তবে সকলেই ত্রাণ পাবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মমতা বলেন, "ঘর-বাড়ি মাথার আশ্রয় সব প্রশাসন করে দেবে।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ঝড়ে পাঁচ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক এবং সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা মূল্যায়ণ করা হয়েছে। প্রশাসন সবাইকে ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে ৷ কৃষকদের ফসলও ধ্বংস হয়েছে, প্রশাসন সব বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে এর মধ্যেও।"
অন্যদিকে, এদিন চালসায় একটি গির্জায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাকে প্রার্থনা করতে দেওয়ার জন্য। এখানে চা পাতা প্রেস্টিসাইড দেওয়ার জন্য চা পাতা নেওয়া ভোটের আগে বন্ধ করে দিল। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী এসে বলেছিল চা বাগান খুলে দেবেন। আগে বন্ধ কল পরে জল। আমি প্রশাসনকে বলব, উপযুক্ত জায়গায় কথাটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যেহেতু এখন নির্বাচন বিধি চলছে। তাই দুই-তিন মাস সময় দিতে হবে। শিক্ষিত বেকারের সংখ্য়া বাড়ছে। আমরা শ্রম দফতরের সঙ্গে কথা বলব।"
পাটজাত দ্রব্য আর নেওয়া হবে না অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এসব বিজেপি শিখিয়ে দেয়। তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গ জুটে নম্বর ওয়ান।" জুটে ভালোভাবে কাজ করার কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চালসা থেকে নকশাল রেল লাইন শিলান্যাস করা হলেও সেটা চালু হয়নি বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমরা চা বাগানে পাট্টা দিচ্ছি। ঘর বানানোর টাকাও দিচ্ছি। উত্তরবঙ্গে আগে কেউ আসত না, দেখত না। জলপাইগুড়িতে ক্রীড়া কেন্দ্র গড়ে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় সব হয়েছে। পাহাড়-তরাই-ডুয়ার্স একসঙ্গে আছে। শান্তির বিকল্প অশান্তি হতে পারে না। আমরা যাতে উৎসবকে দাঙ্গার পর্যায়ে না নিয়ে যাই।"
আরও পড়ুন
উত্তরবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে হন্যে প্রশাসন, মমতার দাবি শুধু বাড়িই ভেঙেছে 5 হাজার
বালুরঘাটের সভা বাতিল, 7 এপ্রিল ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন মোদি