মালদা, 28 সেপ্টেম্বর: টেলিফোনে মালদার ভূতনিচরের বন্যা দুর্গতদের বার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মোবাইলে ফোন করেন তিনি ৷ সেখানেই ফোনের স্পিকারে সরকারের উপর আস্থা রাখার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতেও জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মমতা ৷
দু’দিন আগেই রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ভূতনিচর পরিদর্শন করেছেন ৷ আজ মানিকচকের গোপালপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মথুরাপুর মডেল স্কুলে ত্রাণ শিবিরে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, আবদুর রহিম বক্সি-সহ অন্যান্যরা ৷ ত্রাণবিলির পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম ৷ তখনই ফিরহাদের ফোন স্পিকারে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা দুর্গতদের শোনানো হয় ৷
টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাঁধ কেটে দেওয়ার ফলে দু’টো গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে ৷ নৌকোয় করে গবাদি পশু আনতে গিয়ে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই সময় নৌকা নিয়ে পারাপার করবেন না ৷ বন্যায় গবাদি পশু মারা গেলে, সরকারের তরফে আপনাদের গবাদিপশু দিয়ে দেওয়া হবে ৷ আপনারা নিজেদের প্রাণ বাঁচান ৷ নিশ্চিন্ত থাকুন, মানিকচক, ভূতনিচকে যা-যা কাজ করা দরকার, আমরা তা করব ৷ গত পরশু আমাদের সরকারির অফিসাররা ওই এলাকায় সার্ভে করে এসেছেন ৷"
তিনি আরও বলেন, "আজ ববিকে ওখানে পাঠিয়েছি ৷ আমাদের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রও আছেন ৷ সকলে মিলে যতটা পারব সাহায্য করব ৷ জেলাশাসককে বলব, যা আছে সমস্ত কিছু দিয়ে, দুর্গতদের সাহায্য করতে ৷ ওদের ত্রাণে যেন কোনও ঘাটতি না-হয় ৷ আগামিকাল জেলাশাসকদের নিয়ে আমি একটা বৈঠক করব ৷ আমি জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে ৷ ভূতনিচর এমন একটা জায়গায় প্রতিবছর মানুষের কষ্ট হয় ৷ ব্রিজ (কালভার্ট) ভেঙে যাওয়ায় আরও কষ্ট হচ্ছে ৷ আমরা তা তৈরি করে দেব ৷ আপনারা আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমাদের কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্ষার কারণে কাজটা করা যায়নি। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে 2 লাখ টাকা সাহায্য করা হবে ৷ আপনাদের কিছু বলার থাকলে ববিকে (ফিরহাদ হাকিম) বলে দিন, আমি ওর থেকে শুনে নেব ৷"