কলকাতা, 13 অক্টোবর: আরও একবার বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটায় এই বৈঠক হবে। বৈঠক হওয়ার কথা স্বাস্থ্যভবনে। বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে এই বৈঠক করবে প্রশাসন প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ডাক্তারদের তরফ থেকে অনশনে বসার ডাক দেওয়া হয়েছে আইএমএর তরফ থেকে ৷ এরপরই বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের।
মেইলে কী লেখা রয়েছে-
- মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ডাক্তারদের মেইল করে আগামিকাল বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। আগামিকাল বৈঠকে প্রতিটি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে দু'জন সদস্যকে আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে 15 তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যে যে 'দ্রোহের কার্নিভাল' কর্মসূচি নিয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
- তিনি জানিয়েছেন, এইসময় এই ধরনের কর্মসূচি হলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হতে পারে। মূলত সেই বিষয়টিকেই এড়িয়ে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার। তিনি এটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ডাক্তারদের এধ রনের কর্মসূচি হাইকোর্টের যে নির্দেশ আছে তার পরিপন্থীও হতে পারে। সেই জায়গা থেকে তারা যেন ওই নির্দিষ্ট কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। রবিবার সন্ধ্যা 7টা 14 নাগাদ এই দ্বিতীয় ইমেলটি আসে। সেখানে সিনিয়ার ডাক্তারদের মুখ্যসচিব অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন জুনিয়ার ডাক্তারদের বোঝান। তাঁরা যেন অনশন কর্মসূচি থেকে সরে এসে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
- একইসঙ্গে এদিন রাজ্যের কয়েকটি ডাক্তার সংগঠনকে মেইল করে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। এই মেলটি অবশ্য করা হয়েছে বিকেল 5টা 54 মিনিট নাগাদ। যেখানে সমস্ত চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে দু'জন করে প্রতিনিধি নিয়ে আগামিকাল দুপুর সাড়ে বারোটার মধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছতে বলা হয়েছে।
এদিন এই জোড়া ইমেল সম্পর্কে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তরফ থেকে অনেকেত ধর বলেন, " রাজ্য সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে আলোচনার রাস্তা সবসময় খোলা । আমরা চাইছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চাইছি অচলাবস্থা কাটুক।"
অন্যদিকে, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "সরকারের তরফ থেকে যখনই চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে ডাকা হয়েছে সবসময় আমরা গিয়েছি। যদিও আমরা জানি এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক থেকে কোনও ফল পাওয়া যায়নি। মাননীয় মুখ্যসচিব আদৌও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় বা জায়গায় আছেন কি না তা আমরা জানি না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে সরকারের যা করার তা সমস্ত চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে নিয়েই করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷"