শিলিগুড়ি, 18 জুন: অটোমেটিক সিগন্যাল কাজ করছিল না ৷ সেই জায়গায় 'কাগুজে' সিগন্যাল দিয়েই কাজ চালানো হয় । কিন্তু তা সত্ত্বেও মালগাড়ির গতিবেগ 78 কিলোমিটার ঘণ্টায় কী করে গেল, সবটাই তদন্ত করে দেখা হবে । ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ির চালকের বলে দাবি করেছিল রেল বোর্ড ৷ রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ কিন্তু নথি বলছে, অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ থাকায় কাগজে লিখে মালগাড়ি ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ এই নির্দেশের ভিত্তিতে সিগন্যাল লাল থাকলেও নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালাতে পারেন চালক ৷ তবে কাগুজে অনুমতি নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে একাধিক প্রশ্ন ৷ যার কোন উত্তরই মিলল না এদিন । সিআরএস-এর একটাই বক্তব্য, তদন্তের আগে কিছুই জানানো যাবে না ।
মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির এডিআরএম অফিসে সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ । সোমবারের দুর্ঘটনার সময় যারা যারা কর্তব্যরত ছিলেন তাঁদের সবাইকেই ডাকা হয়েছে সেখানে ৷ মালগাড়িটি কীভাবে একই লাইনে এল ? কে মালগাড়িটিকে ওই লাইনে ছাড়ার অনুমতি দিল ? এই সকল প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি ও রাঙাপানি স্টেশনের রেলকর্মীদের ৷ অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী মালগাড়ির চালক ও সহকারী চালকের বিরুদ্ধে এনজেপি জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরুদ্ধে র্যাশ ড্রাইভিং-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ।