কুলটি, 27 এপ্রিল: তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে শনিবার আসনসোল ও কুলটিতে প্রচার সভা ৷ কুলটির নিয়ামতপুর কিশোর সংঘ ময়দানে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছে ৷ অভিযোগ, স্থানীয় কুলটির নেতাদের গুরুত্ব নেই, এমনকী মঞ্চের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের । এই সভাস্থলে অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় নেতারা। ড্যামেজ কন্ট্রোল আসরে নামেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও ভি শিবদাশন দাসু।
বিক্ষোভরত নেতাদের অভিযোগ, কুলটিতে সভা হলেও সভাস্থল দখল করেছে আসানসোলের তৃণমূল নেতাদের একাংশ। কুলটির স্থানীয় নেতৃত্বকেও সভা মঞ্চের পাশাপাশি ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। আসানসোল পৌরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান কথা কুলটি তৃণমূল নেতার রবিলাল টুডুকেও বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । সভায় আদিবাসীদের বসার জায়গা সংরক্ষিত করা থাকলেও আসানসোলের মানুষজনই সেইসব আসন দখল করেছে । পরোক্ষে লোকসভা নির্বাচনের ভরা আবহে এক প্রকার গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত মিলল আসানসোলে ৷
আসানসোল পৌরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান রবিলাল টুডু বলেন, "আমাদের গ্রামাঞ্চলে সভা হচ্ছে। আমার বোরো এলাকায় সভা। আমি বোরো চেয়ারম্যান হয়েও বসার জায়গা পাইনি। সব ওনারা দখল করে নিচ্ছেন ।" তাঁর কথার রেশ টেনেই কুলটির তৃণমূল নেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন "কুলটির নেতাদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গোটা মঞ্চ কার্যত আসানসোলের নেতারাই দখল করে নিয়েছে। কুলটিতে যখন সভা তখন কুলটি নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।"
যদিও কুলটির নেতাদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন "তেমন কিছুই হয়নি। সবাই দিদিমণির কাছাকাছি আসতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সবাইকে তো আর মঞ্চের কাছাকাছি আসতে দেওয়া হয় না। তাই সামান্য ক্ষোভ-বিক্ষোভ ওদের হয়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেব।" যদিও মেটানোর কথা বিধান উপাধ্যায় বললেও সভা শুরুর আগে পর্যন্ত বিক্ষোভ থামেনি দফায় দফায় সভামঞ্চের আশেপাশে বিক্ষোভ চলতেই থাকে।