কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এক সময়ের সাগরেদ জ্ঞানানন্দ সামন্তের । রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জ্ঞানানন্দ সামন্ত । সিবিআই সূত্রের খবর, এই মামলায় তাঁকে আগেই ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি । নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল । এ বার আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জ্ঞানানন্দকে ডেকে পাঠাল । আজ সাড়ে বারোটা নাগাদ জ্ঞানানন্দ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন । প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে যে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা ।
নিজাম প্যলেস সূত্রের খবর, জ্ঞানানন্দ মূলত দক্ষিণ 24 পরগনা তৃণমূলের জেলা পরিষদের একজন সদস্য । তদন্ত জানা গিয়েছে যে, কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ 25 বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক যোগাযোগ এবং সুসম্পর্ক রয়েছে । গত বছরের মে মাসে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, তখন জ্ঞানানন্দের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল । তাঁকে ডেকে বিবৃতিও নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এমনকি সুজয়কৃষ্ণের মোবাইলে আড়ি পেতে সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার যে কথোপকথনের রেকর্ড হাতে পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা, তাতে 'কাকু' ছাড়া অন্য যে কণ্ঠস্বর ছিল, তা জ্ঞানানন্দের হতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।
সংস্থার গোয়েন্দারা প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছেন যে, ওই কণ্ঠস্বর রাহুল বেরারই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরায় রাহুল সে কথা অস্বীকার করেন । সম্প্রতি তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । সেখানে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের কোনও অ্যাডমিট কার্ড কিংবা অন্য তথ্য মুছে দেওয়া সংক্রান্ত কথা হয়নি । এমনকি তিনি বলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা যদি চান, তাঁর ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে পারেন । তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, ওই কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের আর এক ঘনিষ্ঠ জ্ঞানানন্দেরও হতে পারে ।
আরও পড়ুন: