ETV Bharat / state

কলকাতা মেডিক্যালে দালালরাজ ! কী সুপারিশ তদন্ত কমিটির

তদন্ত কমিটির ডাকে সাড়াই দিলেন না অভিযোকারীরা ৷ তবে সুপারিশ-সহ রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৷

ETV BHARAT
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রিপোর্ট পেশ তদন্ত কমিটির (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 7, 2024, 8:17 PM IST

কলকাতা, 7 নভেম্বর: জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালে 'দালালরাজ' নিয়ে । একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বহু রোগীর পরিজনের গলাতেও । কিন্তু সেই বিষয়ে তদন্ত করতে নেমে একেবারে খালি হাতে ফিরতে হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে । ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে । তবে আরও একটি রিপোর্ট আগামী সোমবার জমা পড়বে । তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উঠে আসবে ৷

কলকাতা মেডিক্যালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও জেনারেল বেড বিক্রির অভিযোগ ছিল । তা খতিয়ে দেখতে জেনারেল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ড. সৌমিত্র ঘোষকে মাথায় রেখে 11 সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । হাসপাতালের বেড ও সিসিইউ বেড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে যে কমিটি গঠিত হয় সেখানে আছেন সাতজন চিকিৎসক, নার্সিং সুপার-সহ তিনজন নার্সিং স্টাফ এবং দুজন ডাক্তারি পড়ুয়া ৷ সেই তদন্ত কমিটি তিনবার ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযোগকারীদের । তবে সূত্রের খবর, তাঁরা একবারও সেই ডাকে সাড়া দেননি ।

এমনকি এই তদন্তের জন্য কমিটি একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছিল । সেগুলি হল, এমএসভিপি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো । অ্যাডমিশন ডেস্কের কাছে যে ড্রপ বস্ক ছিল সেখানে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তা দেখা । ইমেলের মাধ্যমে কোনও অভিযোগ এসেছে কি না তা খতিয়ে দেখা । তবে এই তিনটি মাধ্যমেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও জেনারেল বেড বিক্রির কোনও অভিযোগ পায়নি তারা । অবশেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টেও শেষ 6 মাসের তথ্যের খোঁজ করে তদন্ত কমিটি । কিন্তু সেখানেও তারা কোনও অভিযোগ পায়নি । ফলে কোনও প্রমাণ না থাকায় এই অভিযোগ অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি ।

তবে অভিযোগ না থাকলেও হাসপাতালে বেড নিয়ে দালালরাজ রুখতে বেশকিছু সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি । তারা বলেছে, অডিয়ো বার্তা চালু করতে ৷ পুলিশ, হাসপাতাল, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা শাখার কঠোর নজরদারি রাখতে এবং একটা ফিডব্যাক ফর্ম রাখতে বলা হয়েছে ৷ সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও নার্স-ইন-চার্জদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করার প্রস্তাবও করা হয়েছে । সমস্ত স্থায়ী ও চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম এবং সঠিক পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি ৷

সোমবার আরও একটি রিপোর্ট জমা পড়বে । সেখানে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় ও তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়নের নেতা জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে । সুদীপ্ত ও জয়ন্তর বিরুদ্ধে হাসপাতালের ল্যাব-কিট বেসরকারি ল্যাবে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে ৷

কলকাতা, 7 নভেম্বর: জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালে 'দালালরাজ' নিয়ে । একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বহু রোগীর পরিজনের গলাতেও । কিন্তু সেই বিষয়ে তদন্ত করতে নেমে একেবারে খালি হাতে ফিরতে হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিকে । ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে । তবে আরও একটি রিপোর্ট আগামী সোমবার জমা পড়বে । তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উঠে আসবে ৷

কলকাতা মেডিক্যালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও জেনারেল বেড বিক্রির অভিযোগ ছিল । তা খতিয়ে দেখতে জেনারেল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ড. সৌমিত্র ঘোষকে মাথায় রেখে 11 সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । হাসপাতালের বেড ও সিসিইউ বেড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে যে কমিটি গঠিত হয় সেখানে আছেন সাতজন চিকিৎসক, নার্সিং সুপার-সহ তিনজন নার্সিং স্টাফ এবং দুজন ডাক্তারি পড়ুয়া ৷ সেই তদন্ত কমিটি তিনবার ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযোগকারীদের । তবে সূত্রের খবর, তাঁরা একবারও সেই ডাকে সাড়া দেননি ।

এমনকি এই তদন্তের জন্য কমিটি একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছিল । সেগুলি হল, এমএসভিপি-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো । অ্যাডমিশন ডেস্কের কাছে যে ড্রপ বস্ক ছিল সেখানে কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না তা দেখা । ইমেলের মাধ্যমে কোনও অভিযোগ এসেছে কি না তা খতিয়ে দেখা । তবে এই তিনটি মাধ্যমেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ও জেনারেল বেড বিক্রির কোনও অভিযোগ পায়নি তারা । অবশেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টেও শেষ 6 মাসের তথ্যের খোঁজ করে তদন্ত কমিটি । কিন্তু সেখানেও তারা কোনও অভিযোগ পায়নি । ফলে কোনও প্রমাণ না থাকায় এই অভিযোগ অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি ।

তবে অভিযোগ না থাকলেও হাসপাতালে বেড নিয়ে দালালরাজ রুখতে বেশকিছু সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি । তারা বলেছে, অডিয়ো বার্তা চালু করতে ৷ পুলিশ, হাসপাতাল, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা শাখার কঠোর নজরদারি রাখতে এবং একটা ফিডব্যাক ফর্ম রাখতে বলা হয়েছে ৷ সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও নার্স-ইন-চার্জদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করার প্রস্তাবও করা হয়েছে । সমস্ত স্থায়ী ও চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম এবং সঠিক পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি ৷

সোমবার আরও একটি রিপোর্ট জমা পড়বে । সেখানে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় ও তৃণমূলের কর্মী ইউনিয়নের নেতা জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে । সুদীপ্ত ও জয়ন্তর বিরুদ্ধে হাসপাতালের ল্যাব-কিট বেসরকারি ল্যাবে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.