ETV Bharat / state

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের - Calcutta High Court

Calcutta High Court: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ৷ স্কুলে ও পৌরসভায় এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি চিঠি লিখেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে ৷ সেই চিঠি নিয়ে সিবিআই-কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 9, 2024, 7:17 PM IST

Updated : Apr 9, 2024, 8:16 PM IST

Calcutta High Court
Calcutta High Court
পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদের বক্তব্য

কলকাতা, 9 এপ্রিল: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । ওই চিঠিতে পাহাড়ের স্কুল শিক্ষক ও পৌরসভায় বেআইনি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে । পুরো দুর্নীতির পিছনে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম করে যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে ।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে । কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতর এই ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর না করায় এ দিন তাঁকে তলব করে হাইকোর্ট । শিক্ষা দফতরের অভিযোগ কেন এফআইআর হিসেবে নিল না বিধাননগর থানা, অবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী 15 দিনের মধ্যে সিবিআই ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবে । থানার আইসি-কে, হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি । একই সঙ্গে জিটিএ জানাবে, প্রায় 700 জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা আছে । তাঁদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কিভাবে হয়েছে, তার নথি দিতে হবে আদালতে ।

পাহাড়ে জিটিএ এলাকাতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে চিঠি দেন এক ব্যক্তি । নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি শিক্ষক নিয়োগের বাইরে পৌরসভায় কর্মী নিয়োগেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন । একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পাহাড়ে দু’দফায় প্রায় 700 জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে বেআইনিভাবে ৷

ওই চিঠিতে রয়েছে তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক শাসক দলের ছাত্র ও যুব নেতার নাম । একইসঙ্গে পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল চিঠিতে । তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাংয়ের সৌজন্যে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে ।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তথা সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীর নামও রয়েছে চিঠিতে । প্রান্তিক চক্রবর্তীর হোয়াইস চ্যাট যেটা 2021 সালের মার্চ মাসের 1 তারিখ থেকে 7 তারিখ পর্যন্ত রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে । সেখানে তিনি বলেছেন, পৌরসভায় নিয়োগের এডমিট কার্ড পাঠিয়ে দিয়ে মন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । কারণ, এর জন্য অনেকের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে । প্রান্তিকের দাদাও এতে যুক্ত । এই ধরনের একাধিক ঘটনা রয়েছে বলে দাবি ওই আধিকারিকের । কিন্তু তিনি আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে তাঁর নাম না প্রকাশ করা হয় । এই চিঠির ব্যাপারেই সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন:

  1. দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, শিক্ষিকার বদলিতে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
  2. হচ্ছে কী? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর
  3. পরীক্ষা ছাড়াই স্কুল সার্ভিস কমিশনে সাতশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে আইনজীবী শামিম আহমেদের বক্তব্য

কলকাতা, 9 এপ্রিল: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । ওই চিঠিতে পাহাড়ের স্কুল শিক্ষক ও পৌরসভায় বেআইনি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে । পুরো দুর্নীতির পিছনে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম করে যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে ।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে । কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতর এই ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর না করায় এ দিন তাঁকে তলব করে হাইকোর্ট । শিক্ষা দফতরের অভিযোগ কেন এফআইআর হিসেবে নিল না বিধাননগর থানা, অবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী 15 দিনের মধ্যে সিবিআই ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবে । থানার আইসি-কে, হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি । একই সঙ্গে জিটিএ জানাবে, প্রায় 700 জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা আছে । তাঁদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কিভাবে হয়েছে, তার নথি দিতে হবে আদালতে ।

পাহাড়ে জিটিএ এলাকাতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে চিঠি দেন এক ব্যক্তি । নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি শিক্ষক নিয়োগের বাইরে পৌরসভায় কর্মী নিয়োগেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন । একজন সরকারি আধিকারিক হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পাহাড়ে দু’দফায় প্রায় 700 জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে বেআইনিভাবে ৷

ওই চিঠিতে রয়েছে তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক শাসক দলের ছাত্র ও যুব নেতার নাম । একইসঙ্গে পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল চিঠিতে । তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাংয়ের সৌজন্যে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে ।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তথা সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীর নামও রয়েছে চিঠিতে । প্রান্তিক চক্রবর্তীর হোয়াইস চ্যাট যেটা 2021 সালের মার্চ মাসের 1 তারিখ থেকে 7 তারিখ পর্যন্ত রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে । সেখানে তিনি বলেছেন, পৌরসভায় নিয়োগের এডমিট কার্ড পাঠিয়ে দিয়ে মন্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । কারণ, এর জন্য অনেকের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে । প্রান্তিকের দাদাও এতে যুক্ত । এই ধরনের একাধিক ঘটনা রয়েছে বলে দাবি ওই আধিকারিকের । কিন্তু তিনি আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে তাঁর নাম না প্রকাশ করা হয় । এই চিঠির ব্যাপারেই সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে ।

আরও পড়ুন:

  1. দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, শিক্ষিকার বদলিতে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
  2. হচ্ছে কী? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর
  3. পরীক্ষা ছাড়াই স্কুল সার্ভিস কমিশনে সাতশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ
Last Updated : Apr 9, 2024, 8:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.