ETV Bharat / state

দার্জিলিংয়ে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে রাজ্যের সদিচ্ছার অভাব? প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতির - Teachers Recruitment Scam

Teachers Recruitment Scam: দার্জিলিংয়ে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে রাজ্যের সদিচ্ছার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি ৷ একই সঙ্গে, সিআইডি কেন তদন্ত বন্ধ করে দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট ৷

Teachers Recruitment Scam
শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে সদিচ্ছার অভাব (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 31, 2024, 10:48 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই: দার্জিলিং জেলায় নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশ যে এফআইআর করেছিল সেই ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না কেন ? সিআইডি কেন তদন্ত বন্ধ করে দিল ? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে বিচারপতির বক্তব্য, "তাহলে কি সরকার তদন্ত করতে চায় না ? সুপ্রিমকোর্টে মামলা চললেও রাজ্য যে এফআইআর করেছিল তাতে তদন্তে অসুবিধা নেই তো ?"

শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে সদিচ্ছার অভাব (ইটিভি ভারত)

রাজ্য সরকারের একধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম যেহেতু সামনে আসছে, তাই তদন্ত ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ। তিনি আরও বলেন, "দার্জিলিং জেলায় যে কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে, তাতে দূর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। সেটা সরকার পক্ষ হলফনামায় মেনেও নেয়।"

তবে, দার্জিলিং জেলায় নিয়োগে দূর্নীতি করা হয়েছে জানিয়ে সরকারি এক আধিকারিক চিঠি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে কিছুদিন আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিবিআইকে চিঠির ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে । সেই জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আপাতত 4 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন ।
সুপ্রিমকোর্টে কী নির্দেশ দেয়, তা দেখার পর ফের এই মামলার শুনানি করবেন বিচারপতি বসু ।

রাজ্যের জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগে যে দূর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যাপারে রাজ্য আসলে তদন্ত করতে চায় না বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিচারপতি বসু। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে গত 7 মার্চ সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট । ওই চিঠিতে পাহাড়ের স্কুল শিক্ষক এবং পুরসভায় বেআইনি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে । গোটা দুর্নীতির পিছনে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম করে যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে। কিন্তু স্কুলশিক্ষা দফতর এই ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি ।

এরপর বিচারপতির নির্দেশ ছিল, 15 দিনের মধ্যে সিবিআই ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দেবে। একইসঙ্গে বিধাননগর থানার আইসিকে, হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি। একই সঙ্গে জিটিএ-কে জানাতে হবে, প্রায় 700 জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা আছে। তাদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কীভাবে হয়েছে তার নথিও জমা দিতে হবে আদালতে। এই নির্দেশের পরেই রাজ্য সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

কলকাতা, 31 জুলাই: দার্জিলিং জেলায় নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশ যে এফআইআর করেছিল সেই ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না কেন ? সিআইডি কেন তদন্ত বন্ধ করে দিল ? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে বিচারপতির বক্তব্য, "তাহলে কি সরকার তদন্ত করতে চায় না ? সুপ্রিমকোর্টে মামলা চললেও রাজ্য যে এফআইআর করেছিল তাতে তদন্তে অসুবিধা নেই তো ?"

শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্তে সদিচ্ছার অভাব (ইটিভি ভারত)

রাজ্য সরকারের একধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম যেহেতু সামনে আসছে, তাই তদন্ত ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ। তিনি আরও বলেন, "দার্জিলিং জেলায় যে কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে, তাতে দূর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। সেটা সরকার পক্ষ হলফনামায় মেনেও নেয়।"

তবে, দার্জিলিং জেলায় নিয়োগে দূর্নীতি করা হয়েছে জানিয়ে সরকারি এক আধিকারিক চিঠি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সেই নিয়ে কিছুদিন আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিবিআইকে চিঠির ব্যাপারে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে । সেই জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আপাতত 4 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলার শুনানির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন ।
সুপ্রিমকোর্টে কী নির্দেশ দেয়, তা দেখার পর ফের এই মামলার শুনানি করবেন বিচারপতি বসু ।

রাজ্যের জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগে যে দূর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যাপারে রাজ্য আসলে তদন্ত করতে চায় না বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিচারপতি বসু। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে গত 7 মার্চ সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট । ওই চিঠিতে পাহাড়ের স্কুল শিক্ষক এবং পুরসভায় বেআইনি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে । গোটা দুর্নীতির পিছনে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম করে যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে। কিন্তু স্কুলশিক্ষা দফতর এই ব্যাপারে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি ।

এরপর বিচারপতির নির্দেশ ছিল, 15 দিনের মধ্যে সিবিআই ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দেবে। একইসঙ্গে বিধাননগর থানার আইসিকে, হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি। একই সঙ্গে জিটিএ-কে জানাতে হবে, প্রায় 700 জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা আছে। তাদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কীভাবে হয়েছে তার নথিও জমা দিতে হবে আদালতে। এই নির্দেশের পরেই রাজ্য সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.