কলকাতা, 14 মার্চ: লুচি, আলুপোস্ত আর মিষ্টি দইয়ের মতোই মিটিং-মিছিলও বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ । বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মিছিলের অনুমতি সংক্রান্ত মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ । এই তীর্যক মন্তব্য করলেও মিছিল করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ।
উল্লেখ্য, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে মিছিল ও ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি । বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে তারা এই কর্মসূচির পরিকল্পনা নেয় ৷ কিন্তু পুলিশ এই কর্মসূচির অনুমতি দিতে অস্বীকার করে ৷ তখন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি ৷
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কো-অর্ডিনেশন কমিটির মিছিলের অনুমতি দেন ৷ কিন্তু সেই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ডের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয় ৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ কো-অর্ডিনেশন কমিটির মিছিল নিয়ে ফের আদালতে ধাক্কা খেতে হল রাজ্য সরকারকে ।
বুধবার হাইকোর্ট জানিয়েছিল, দু'ঘণ্টার জন্য মিছিল ও মিটিংয়ের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । সিঙ্গল লাইনে মিছিল করতে হবে । রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করা যাবে । মিছিল শেষে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধরনা করা যাবে । নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ । সর্বাধিক দেড় হাজার জনকে নিয়ে মিছিল ও ধরনা কর্মসূচি করতে হবে ।
বৃহস্পতিবার এই নির্দেশগুলির সঙ্গেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ৷ সেগুলি হল - শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে । কোথাও মিছিলকে দাঁড় করানো যাবে না । ট্রাফিকের সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে । যেহেতু কর্ম দিবসে এই মিছিল হচ্ছে, তাই ন্যূনতম সদস্য নিয়েই এই মিছিল করতে হবে । প্রশাসনের অন্যান্য শর্ত মেনে মিছিল করতে হবে ।
আরও পড়ুন: