কলকাতা, 29 অক্টোবর: বাতিল হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি লাইসেন্স ৷ এবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে 22 নভেম্বরের মধ্যে সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের পূজাবকাশকালীন বেঞ্চের । যেহেতু সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি, সেজন্য তাঁর স্ত্রী’র মারফত তিনি যে বক্তব্য জানাতে চান সেটা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে শুনতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ।
একই সঙ্গে মেডিক্যাল কাউন্সিল গত 19 সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করার যে নোটিশ দিয়েছিল, তার আইনি দিকও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের একক বেঞ্চ ।
এদিন আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী বলেন, ‘‘যখন মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শো-কজ করে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, সে সময় তিনি জেলে থাকায় তার উত্তর দিতে পারেননি । তারপরই মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর লাইসেন্স বাতিল করে । তার নাম রেগুলার ডাক্তারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় ।’’
আরজি করের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের মেডিক্যাল কাউন্সিলের লাইসেন্স বাতিলের দাবি উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে । মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে শো-কজ করে নোটিশ পাঠানোর সত্ত্বেও কোনও উত্তর না-দেওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হয় । এ ব্যাপারে সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়েই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে । একতরফা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে । এই দাবি নিয়েই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ।
বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি । এদিন বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের একক বেঞ্চে মামলা উঠলে বিচারপতি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য 22 নভেম্বরের মধ্যে শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ।