কলকাতা, 10 এপ্রিল: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রহস্যজনক চিঠি নিয়ে সিবিআইকে মঙ্গলবার অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নির্দেশ দিয়েছিলেন । সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল জানাল রাজ্য সরকার । চিঠিতে পাহাড়ের স্কুলে শিক্ষক এবং পুরসভায় বেআইনি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে ।
গোটা দুর্নীতির পিছনে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম যুক্ত আছে বলে অভিযোগও করা হয়েছে । বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআইকে । কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও থানার আইসি এফআইআর দায়ের করতে রাজি হন নি ৷ মঙ্গলবার তাঁকেও তলব করে হাইকোর্ট । আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী 15 দিনের মধ্যে সিবিআইকে ওই চিঠির সত্যতা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিতে হবে । থানার আইসি কে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কেন তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরেও এফআইআর করেননি ? একই সঙ্গে জিটিএ জানাবে, প্রায় ৭০০ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পিছনে কতটা সত্যতা রয়েছে ৷ তাদের যোগ্যতা ও নিয়োগ কি ভাবে হয়েছে ? তার নথিও দিতে হবে আদালতে ।
পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একটি চিঠি আদালতে জমা দেন এক ব্যাক্তি । সেই চিঠিতে রয়েছে তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহশাসক দলের ছাত্র ও যুব নেতার নাম । একইসঙ্গে পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং ও শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে । সেই চিঠি নিয়েই ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন এফআইআর দায়ের করতে গেলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। তারপরই আইসিকে তলব করে আদালত।
চিঠিতে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যাক্তি শিক্ষক নিয়োগ ছাড়াও পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিলেন । একজন সরকারি আধিকারিক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, পাহাড়ে দু-দফায় প্রায় ৭০০ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে বেআইনিভাবে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পাহাড়ের তৃণমূল নেতা বিনয় তামাঙের সৌজন্যে । সেখানে উঠে এসেছে টিএমসিপি ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তীর নাম।
আরও পড়ুন: