কলকাতা, 7 অক্টোবর: আরজি করের ঘটনায় কেন নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা হল, কলকাতা তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছেই তার উত্তর চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
সোমবার মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি দাবি করেন, ঘটনার প্রায় দু'মাস হয়ে গিয়েছে ওই বিষয়ে এখনও বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । তারপরই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ বিনীত গোয়েলের কাছেই এ ব্যাপারে হলফনামা তলব করেছেন ।
আরজি করের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম ও পরিচয় সংক্রান্ত ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই কিছু নির্দেশ দিয়েছে । সেই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে বিনীত গোয়েলের কাছেই এ দিন উত্তর চাইল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । তাঁকে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে । একই সঙ্গে মামলাকারী ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । 13 নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে । 14 নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি ।
একই সঙ্গে এ দিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানতে চেয়েছিলেন, শীর্ষ আদালতে মামলা চলাকালীন হাইকোর্ট কি এই মুহূর্তে আলাদা করে এই মামলা শুনতে পারে ? এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে একজন আইপিএস অফিসারর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কি অভিযোগ আনা যায় ? সেই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাবে কেন্দ্রীয় ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং । কেন্দ্রীয় আইন ও বিচারমন্ত্রককে কপি দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ।
উল্লেখ্য, ওই মামলার আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেখানে আরজি কর সংক্রান্ত মামলা শুনছে, সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের কি বিনীত গোয়েল সংক্রান্ত মামলা শোনা উচিত? প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্ট আরজি করে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে মামলা শুনছে । বাকি অন্যান্য ইস্যু নিয়ে হাইকোর্টের মামলা শুনতে কোনও অসুবিধা নেই বলেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছে । তারপরই প্রধান বিচারপতি সোমবার মামলা শুনবেন বলে জানান । এ দিন মামলাকারী তাঁর বক্তব্য জানিয়ে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়েছেন আদালতে ।
প্রসঙ্গত, 9 অগস্ট আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্যাতিতার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে । কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা ।