জলপাইগুড়ি, 9 অগস্ট: বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকতে পারে। সীমান্ত এলাকায় নাকা চেকিং ও সাধারণ মানুষের আনাগোনার উপর কড়া নজরদারি শুরু করল বিএসএফ। গ্রামবাসীদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদেরও সাহায্য চেয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বৃস্পতিবারই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দক্ষিণ বেরুবাড়ি এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আধিকারিকরা।
বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে ৷ বলা হয়েছে, সীমান্তে অপরিচিত ও সন্দেহজনক কিছু দেখলেই বিএসএফ-কে খবর দিতে হবে ৷ বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনও জঙ্গি যেন প্রবেশ করতে না-পারে ৷ সেই কারণেই এই বৈঠক বলে জানাা গিয়েছে । গতকালই জলপাইগুড়ি সীমান্ত এলাকা ধরধুরাগ্রামের কাঁটাতারহীন এলাকায় বাংলাদেশের কয়েকশো মানুষ ভারতে ঢুকতে চেয়েছিল। বিএসফের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই, জলপাইগুড়ি দক্ষিণ বেরুবাড়ির পঞ্চায়েত সদস্য অন্নদাশঙ্কর রায় বলেন, "দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 16 কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই ৷ এই খোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে কোনওভাবেই কেউ ঢুকতে না পারে, সেই বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ।গতকাল বাংলাদেশের প্রচুর নাগরিক ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন । আমরা চাইছি, দক্ষিণ বেরুবাড়ির ওই এলাকা সুরক্ষিত করতে ৷" বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অনেকজন জঙ্গি জেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ৷ তারা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না-পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক বিএসএফ ৷
ঘটনা প্রসঙ্গেই দক্ষিণ বেরুবাড়ির বাসিন্দা নিমাই রায় জানান, অনেককেই বাংলাদেশ জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । ভারতে কোনও ভাবেই যাতে কোনও জঙ্গি বা কেউ ঢুকে যেতে না পারে সেদিকে নজর থাকবে গ্রামবাসীদের। সেই কারনেই গ্রামবাসীরা বিএসএফকেও সাহায্য করবে ও খবরাখবর দেবে। অন্যান্য গ্রামবাসীদের সঙ্গেও তাঁরা আলোচনায় বসেছিলেন ।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে । তারা ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। বিএসএএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি অমিত ত্যাগী বলেন, "সীমান্তে হাই-অ্যালার্ট রয়েছে ৷ আমরা সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছি ৷ গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে ৷"