কলকাতা, 3 এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিএসএফের বড় সাফল্য। কলকাতায় সোনাপাচার করতে যাওয়ার সময় দুই মহিলাকে আটক করলেন জওয়ানরা। বাজেয়াপ্ত সোনা ও ধৃত দুই পাচারকারীকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনপুর কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত সোনার মোট ওজন 1.929 কেজি । যার আনুমানিক বাজার মূল্য 1 কোটি 24 লক্ষ 54 হাজার 775 টাকা।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সোনার চোরাচালান বানচাল করে দিল । বিশেষ অভিযান চালায় বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ আর তাতে কলকাতায় ডেলিভারি করতে যাওয়া দুই মহিলা চোরাকারবারীকে 13টি সোনার বিস্কুট এবং একটি সোনার ইট-সহ ময়ুরহাট হল্ট রেলওয়ে স্টেশনে আটক করা হয় ।
বিএসএফ মুখপাত্রের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, 2 এপ্রিল বিএসএফ গেদে-শিয়ালদাগামী ট্রেনে সোনা পাচারের তথ্য পায়। গেদের কোম্পানি কমান্ডার ও আরপিএফ যৌথ অভিযান চালায় ৷ সন্দেহভাজনদের ছবি অনুসারে, দু'জন মহিলাকে বেলা 2টো 20 মিনিটে চিহ্নিত করা হয়। তাদের শনাক্ত করার পরে বিএসএফ দল ও আরপিএফ ময়ুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে উভয় সন্দেহভাজন মহিলা পাচারকারীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয় । প্রাথমিক তল্লাশির সময় তাদের কাছ থেকে 2টি প্যাকেট পাওয়া যায় ৷ যার মধ্যে থেকে 13টি সোনার বিস্কুট এবং একটি সোনার ইট উদ্ধার করা হয় । এরপর বাজেয়াপ্ত সোনা ও আটক মহিলাদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীমান্ত চৌকি গেদে আনা হয় ।
ধৃত পাচারকারীরা হলেন পদ্মা (জয়ন্তী) মণ্ডল ৷ বাড়ি নদিয়া জেলার চাকদহে ৷ অপরজন মিঠু বিশ্বাস ৷ বাড়ি নদিয়া জেলারই হরিশ নগরে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে মিঠু বিশ্বাস জানান, তিনি রঘুনন্দনপুর গ্রামের এক পরিচয় মহিলার কাছ থেকে এই চালানটি পেয়েছেন এবং টাকার বিনিময়ে তিনি বাহক হিসেবে কাজ করছেন । এই কাজটি সম্পন্ন হলে তিনি 800 টাকা পেতেন । তিনি আরও জানান, রানাঘাট রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার পর তিনি তাঁর মোবাইলের মাধ্যমে নির্দেশ পেতেন যে তাঁকে কোথায় নামতে হবে এবং প্রতিবার বিভিন্ন রেল স্টেশনে নামতেন । পদ্মা মণ্ডলের দাবি, তিনি শ্যামল বিশ্বাস নামে একজনের কাছ থেকে চালানটি পেয়েছিলেন ৷
জওয়ানদের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক ৷ তিনি বলেন, "কুখ্যাত চোরাকারবারিরা দরিদ্র ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে । কুখ্যাত পাচারকারী চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে । তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছেন যে তারা যদি সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পান তবে বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর 14419 নম্বরে এই তথ্য দিতে পারেন ।"
এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর 9903472227 জারি করেছে । সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজও পাঠানো যেতে পারে । সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে ।
আরও পড়ুন: