জলপাইগুড়ি, 12 মার্চ: বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক মানব অঙ্গ পাচার চক্রের সদস্য । ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে ৷ 15 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা পাকড়াও করেন ওই বাংলাদেশের নাগরিককে । ধৃতের নাম মহম্মদ মেহেদি হাসান(27) । তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের শিবপুরে । ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 16 হাজার 700 টাকা । সঙ্গে ভারতের ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড ৷ মঙ্গলবার ধৃতকে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোতয়ালি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ ধৃতকে আজ আদালতে তোলা হবে ।
জানা গিয়েছে, মেহেদি হাসান বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে । এরপর ভারতে থেকে মানব অঙ্গ পাচার চক্রের সদস্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি । পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এই যুবক ।
বিএসএফের জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদি হাসান জানান, হরিয়ানার বেশ কিছু হাসপাতালে মানব অঙ্গ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি । এই কাজের সূত্রে তিনি বিরাট অংকের টাকা রোজগার করেন । যুবক হরিয়ানার বিভিন্ন হাসপাতালে অনুবাদক হিসেবে কাজ করে এই চক্র চালান বলে জানা গিয়েছে ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, 2019 সালে দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন মেহেদি হাসান । মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন তিনি । এরপর হরিয়ানা ফরিদাবাদের বাসিন্দা এক যুবকের হাত ধরে অবৈধভাবে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানান । বাংলাদেশের পাসপোর্ট এবং ভারতীয় আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স রাখার অভিযোগে এর আগে হরিয়ানা পুলিশ 2022 সালের 17 অগস্ট মহম্মদ মেহেদি হাসানকে গ্রেফতার করেছিল । এরপর ওই বছরের 22 সেপ্টেম্বর তিনি জেল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান ।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের 26 ফেব্রুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ যান যুবক । পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সোমবার রাতে বাংলাদেশ থেকে ফের বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন তিনি ৷ সে সময় বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে যান ।
আরও পড়ুন: