কেশিয়াড়ি, 29 মে: বউমাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ভাসুরের । আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি একই পরিবারের তিনজন । বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কেশিয়াড়ির এলাসাই এলাকায় ৷ পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা এসে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছেন ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও বাড়ির গৃহবধূ রিনা দাস জামাকাপড় কেচে শুকোতে দিতে গিয়েছিলেন একটি নিষ্ক্রিয় ইলেকট্রিক তারে । কিন্তু সেই নিষ্ক্রিয় তারে কোনওক্রমে শর্ট-সার্কিটের জেরে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । বউমাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে দৌড়ে যান ভাসুর মানিক দাস (44) ৷
বিয়ের অনুষ্ঠানে বিষাদ ! গায়ে হলুদের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বরের
বউমাকে স্পর্শ করতেই তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান । এরপর একে একে শাশুড়ি গিরিবালা দাস এবং পরবর্তীকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বিপ্লব দাস তাঁদের বাঁচাতে দৌড়ে যান । কিন্তু তারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন । এরপর জাম্পার নামিয়ে দিলে সকলে পড়ে যান । এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ভাসুরের । অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি তিনজনকে প্রথমে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
পরে তাঁদেরই মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় । এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ নেমে এসেছে শোকের ছায়া । বিদ্যুৎ দফতর ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাড়িতে থাকা বিদ্যুতের লাইনের গাফিলতির ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে । যদিও ইতিমধ্যে পুরো ঘটনা তদন্ত করছে কেশিয়াড়ি পুলিশ ও কেশিয়াড়ি বিদ্যুৎবিভাগ । যদিও এই ঘটনায় কারণ খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।
মর্মান্তিক! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল একই পরিবারের চারজনের