কলকাতা, 21 মার্চ: খাস কলকাতায় এবার সিএএ আতঙ্ক। সেই আতঙ্কের গ্রাসে আত্মঘাতী যুবক। মৃতের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত (31)। জানা গিয়েছে, তিনি আদতে নেতাজি নগর থানা এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু তিনি গত পরশুদিন মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন সুভাষগ্রামে মামাবাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার সেখানেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (সদর) মিরাজ খান জানিয়েছেন, দেহটি মিলেছে বারুইপুর জেলা পুলিশের আওতাধীন সুভাষগ্রাম থেকে ৷ সেখানেই আত্মহত্য়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তিনি। যেহেতু ওই বাসিন্দা নেতাজি নগর থানা এলাকার, ফলে স্থানীয় থানাযতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছ।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সিএএ লাগু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চিন্তায় ছিলেন দেবাশিস। নাগরিকত্ব হারানোর ভয় তিনি পাচ্ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি বারবার তিনি আতঙ্কের সুরে বলছিলেন, দেশ থেকে বার করে দেওয়া হলে যাবেন কোথায় ? দেবাশিসের কাছে কিছু কাগজপত্র ছিল না বলে জানা গিয়েছে। গ্রাম থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে পাশাপাশি দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সম্প্রতি সিএএ লাগু নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র ৷ তারপর থেকেই অবশ্য বিরোধীরা এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল ৷ সিএএ'র সঙ্গে এনআরসি যোগ নিয়েও কড়া ভাষায় বিবৃতি দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের ৷ এরপরই নেতাজি নগরে যুবকের মৃত্যুতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ৷ মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও স্পষ্ট কারণ দেখানো না হলেও, মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, সিএএ আতঙ্কাই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক ৷ শুধু পরিবার নয়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীও জানিয়েছেন, সিএএ আতঙ্কের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক ৷ বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট না-থাকায় আতঙ্ক আরও বেড়েছিল ৷ এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: