কলকাতা, 4 অগস্ট: বনদফতরের রেঞ্জ অফিসারকে অখিল গিরি করা কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল ৷ এবার তারই তীব্র সমালোচনা করল বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবিরের পালটা প্রশ্ন, "সুব্রত বক্সি তো বিচারপতি বা আদালত নন তাহলে তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবেন ?"
বনদফতরের মহিলা আধিকারিক সম্পর্কে অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত অখিলকে পদত্যেগ করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল ৷ শাসকদলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশের পর কারামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতে নারাজ অখিল ৷ আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, "এই দেশে একটা আইনের শাসন আছে। সরকারি অধিকারিককে কাজে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেবে আদালত। সুব্রত বক্সি তো বিচারপতি বা আদালত নন তাহলে তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবেন ? এটাই তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যারা সিবিআই, ইডির উপর আক্রমণ করেছিল তাদেরই বাঘ বলেছিল তৃণমূল।"
এর পাশাপাশি শমীক আরও বলেন, "কী দুর্নীতি হয়েছে সেটা ফাঁস করার কথা বলেছেন অখিল গিরি। সেটা তিনি তাহলে জানান ! কারণ আমলা ও মন্ত্রীরা মিলে একসঙ্গে এ রাজ্যে দুর্নীতি করেন। অখিলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হওয়া উচিত। কথা না শুনলে সরকারি আধিকারিককে আক্রমণ করা হবে-এটাই তৃণমুলের সংস্কৃতি !"
অখিলের ক্ষমা না চাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, "উনি কেন ক্ষমা চাইবেন । সর্বত্র তৃণমূল যে কাজ করএ সেটাই অখিল গিরি করেছেন। বিচারপতিদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বইমেলার বাইরে পুলিশকে থাপ্পড় মারার কথা বলেছিলেন। সেই লাইনেই কথা বলেছেন অখিল গিরি। মানুষ ভয়ের আবহে আছে। সরকারি আধিকারিকরা ভয়ের মধ্যে আছেন। তাহলে অখিল গিরি কেন ক্ষমা চাইবেন !"
অখিল ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি ৷ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলার মানুষ তৃতীয় বারের জন্য এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে ৷ তার খেসারত তো দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন তিনি পারবেন না ৷ তিনি অপারগ। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানেন, দখলদারির বিরুদ্ধে কথা বললে দল চলবে না ৷ দলটাই উঠে যাবে।"