দুর্গাপুর, 8 এপ্রিল: ইস্পাত কারখানার ফাঁকা জমিতে গড়ে উঠেছে বিজেপির কার্যালয় ৷ যা নিয়ে প্রতিবাদে সিপিএম-তৃণমূল ৷ পালটা দুই শিবিরকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ৷ সিপিএম-তৃণমূলের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমি রাজনীতি মাঠের বাইরে গিয়ে করব না, ভেতরে ঢুকেই মারব।"
রবিবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আর্টিরিয়াল রোড এবং 54 ফুট এলাকায় উদ্বোধন হয়েছে বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের কার্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অধিগ্রহণ করা জমিতে গড়ে উঠেছে এই কার্যালয় ৷ দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কার্যালয় হিসেবি এটি তৈরি হয়েছে ৷ এই কার্যালয়ের উদ্বোধন নিয়েই বিজেপিকে কটাক্ষ ছুড়েছে সিপিএম ও বিজেপি'র ৷
এদিকে ইস্পাত কারাখানার জমিতে দলীয় কার্যালয় নিয়ে যখন রাজনৈতিক তরজা ঘিরে হুঁশিয়ারি দিলেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, "আইনগত না আইন বিরুদ্ধ আমি জানি না। এখানে ওনাদের অফিসগুলো কোথায় আছে ? আমি তো খড়গপুরে রেলের আবাসনে ছিলাম ৷ রেলের জমি দখল করা ওরাই শুরু করেছে। এখানে বিধায়ক কার্যালয় হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না ওদের বেদখল করব ততক্ষণ পর্যন্ত ওরা যা যা করেছে আমরা তাই করব। আমি রাজনীতি মাঠের বাইরে গিয়ে করব না ভেতরে ঢুকেই মারব। "
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমানের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন," আমরা এই বিষয়টি দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে জানাব ৷ একজন বিধায়ক কীভাবে বেআইনি জায়গাতে তার কার্যালয় তৈরি করতে পারেন ৷ তাছাড়া দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আবাসন পেয়েছেন উনি। দিলীপ দা এই অবৈধ জিনিসকে কি করে বৈধ করতে চাইছেন জানি না ৷"
তাঁর কথার রেশ টেনেই সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, "মাত্র কয়েকদিন আগেই দেখলাম দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই কার্যালয় থেকে 50 মিটার দূরে বুলডোজার চালাল। ব্যবসায়ীরা আজ আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন। আর দুই শাসক দল সরকারি জমি লুঠপাট চালাচ্ছেন । আমরা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।" নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ার পর কীভাবে এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ৷
আরও পড়ুন: