রায়গঞ্জ, 5 অক্টোবর: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান-বিক্ষোভে বাধা দেওয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ৷ এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷ আজ রায়গঞ্জে চা-চর্চায় যোগ দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও থ্রেট-কালচারের মতো নানা বেআইনি কাজের পরিণাম হল আরজি করের মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন ৷ আর সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল অভিযুক্তদের বাঁচাতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বাধা দিচ্ছে ৷
উল্লেখ্য, গতকাল এসএসকেএম থেকে মিছিল করে ধর্মতলা পর্যন্ত যান জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেখানে ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল ৷ কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে মঞ্চ বাঁধার কাজের তদারকিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করে পুলিশ ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর ৷ পরবর্তী সময়ে সেখান থেকেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সঙ্গে নিজেদের দাবিপূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে 24 ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা ৷
জুনিয়র ডাক্তারদের এই হুঁশিয়ারি সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, "জুনিয়র ডাক্তাররা শুরু থেকে সরকারের উপর চাপ তৈরি করছেন ৷ তাঁদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ আছে ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার এই আন্দোলনকে বন্ধ করাতে চাইছেন ৷ তাই সরাসরি কিছু করতে পারছেন না-বলে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীরা ভয় দেখাচ্ছেন ৷" আর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে আটকাতে চাইছে ৷ সরকার চাইছে না এই আন্দোলন আরও এগিয়ে যাক ৷ মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন পুজোর আগে সব থিতিয়ে যাবে ৷ কিন্তু, তা এখনও চলছে ৷"
তবে, আন্দোলন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিপূরণে কর্মবিরতির মতো ইস্যুগুলি প্রধান বিষয় নয় বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, আসল বিষয় হল আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচার ৷ সুপ্রিম কোর্ট ও সিবিআই নিজেদের মতো দেখছে বিষয়টা ৷ কিন্তু, নির্যাতিতা ডাক্তারের বাবা-মা এখনও সুবিচারের আশায় বসে আছেন ৷ তাঁদের দাবিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান দিলীপ ঘোষ ৷