কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: রামপুর থেকেই ফিরে আসতে হচ্ছে বিজেপির উচ্চস্তরীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, 6 সদস্য়ের ওই কমিটি কলকাতায় ফিরে সোজা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করবেন ৷ সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁদের পথ আটকায় ৷ সেই অভিজ্ঞতার কথা রাজ্যপালকে জানাবেন ছয় সদস্যের দল ৷
শুক্রবার সকাল 9টা নাগাদ একটি বেসরকারি হোটেল থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই দল ৷ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা গঠিত ওই দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, সাংসদ কবিতা পাতিদার, বিজেপি সাংসদ সঙ্গীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ বৃজলাল ৷ এদিন তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন দক্ষিণ আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলও ৷
উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি যেতে রামপুরেই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ ৷ তাদের সঙ্গে ওই দলের সদস্যদের বচসা বাধে ৷ এমনকী ধস্তধস্তিও হয় ৷ পুলিশি বাধার মুখে অগ্নিমিত্রা পল-সহ বাকিরাও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷
পুলিশের সামনেই এই প্রতিনিধি দল রাস্তায় বসেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে সন্দেশখালির নির্যাতিত কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান ৷ কথা ছিল, সন্দেশখালিতে পৌঁছে ওখানকার নিপীড়িত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তা ভিডিয়োগ্রাফি করে রিপোর্ট দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেবে এই প্রতিনিধি দল ৷
এদিকে আজ তাঁদের ধামাখালির পথে রামপুরের কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় ৷ দক্ষিণ আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, "এতে পরিষ্কার বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার কতটা ভয় পেয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সন্দেশখালি যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ 144 ধারা জারি করে রেখেছে ৷ আমরা বললাম, 5 জন সদস্য যাব, কিন্তু আমাদের যেতে দিল না ৷ তারপর আমরা বললাম, শুধু 2 জন মন্ত্রীকে যেতে দেওয়া হোক ৷ তাও পুলিশ অনুমতি দিল না ৷ পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হয়েছে, বিজেপির প্রতিনিধি দল এলে তাদের যেন সন্দেশখালি যেতে দেওয়া না-হয় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন কী হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে ৷" গতকাল এখানেই আটকে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও ৷ তারপর তিনি সেখানেই বসে পড়েন ৷ বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের যেতে দেওয়া না-হলে তাঁরা কলকাতার পথে রওনা দেন ৷ এই দলের দুই সদস্য কেন্দ্রীয় মহিলা এবং তিন জন মহিলা সাংসদ ৷
আরও পড়ুন: