বোলপুর, 8 অক্টোবর: খয়রাশোলে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে 8 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে দু'জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি ৷ তাই ওই দু'জনের দেহের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বেলগাছিয়া ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে ৷
পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর তাঁদের পরিবারের হাতেও চেক তুলে দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানান রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাকি নিহতদের পরিবারের হাতে 32 লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয় ৷ সামিরুল ইসলাম বলেন, "আমরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হল ৷ 8 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 2 জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি ৷ তাই ডিএনএ টেস্ট করা হবে।"
বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার অন্তর্গত ভাদুলিয়া গ্রামে জিএমপিএল অর্থাৎ, গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড কোলিয়ারি রয়েছে ৷ সোমবার সেখানে কয়লার চাঁই ভাঙার প্রস্তুতি চলছিল ৷ সেই সময় অসাবধানতাবশত জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর বোঝাই গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ৷
সেই বিস্ফোরণের অভিঘাত এমনই যে, ধস নামে খোলামুখ কয়লা খনিতে ৷ ছিন্নভিন্ন হয়ে হয়ে যায় শ্রমিকদের দেহ ৷ এই ঘটনায় মৃত 8 জন শ্রমিকের মধ্যে 6 জনের দেহ শনাক্ত করা গেলেও 2 জনের নাম-পরিচয় যায়নি ৷ তাই দু'জনের দেহ ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতার বেলগাছিয়া ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবার পিছু 32 লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ এর সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্যকে স্থায়ী হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা দিয়েছেন ৷ সেই অনুযায়ী এদিন মৃতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয় ৷ এদিন, সিউড়িতে আসেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ৷ মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা ৷
এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এত বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক খাদানের ভিতরে ঢুকল ? শ্রমিকদের নিরাপত্তাই বা কোথায় ? যদিও, বীরভূমে একটি বিস্ফোরকের মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ৷ সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, "খাদানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসন দেখছে। তবে আমাদের আগে যেটা উচিত সেটা হল ওই পরিবারগুলোর পাশে থাকা। সেটাই আমরা করছি ৷ পুজোর মুখে এই ঘটনা খুবই দুঃখের ৷"